মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কুমিল্লায় বাইরে রিপ্রেজেন্টেটিভ ভিতরে দালালের উৎপাত

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় বাইরে রিপ্রেজেন্টেটিভ ভিতরে দালালের উৎপাত

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এর বহির্বিভাগে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ আর অন্তঃবিভাগে দালালদের উৎপাতে মানুষ বেকায়দায় পড়ছেন। এই দুর্ভোগ চলছে বছরের পর বছর। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে এখন রোগী ভর্তি আছেন প্রায় দ্বিগুণ। বহির্বিভাগে প্রায় টিকিট বিক্রি হয় দেড় হাজারের মতো। রিপ্রেজেন্টেটিভ আর দালালদের খপ্পরে পড়ে সাধারণ রোগী ও তার স্বজনরা অনেকেই বিরক্ত হন। পড়েন বিভ্রান্তিতেও। সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ১১ থেকে ১টা পর্যন্ত হাসপাতালে রিপ্রেজেন্টেটিভদের ব্যাপক উপস্থিতি। রোগী দেখার মূল সময়ে অনেক ডাক্তার ভিজিট করছে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা।  চান্দিনার বাতাকান্দি গ্রাম থেকে মাওলানা আবু নোমান ছেলেকে নিয়ে এসেছেন এ হাসপাতালে। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় শিশু ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের হাত ভেঙে যায়। এ হাসপাতালে ১১ দিন ভর্তি ছিল। তখন ওয়ার্ডের ভিতরে প্রবেশ করে দালালরা তাদের ডায়াগনিস্টক সেন্টারে পরীক্ষা করানোর জন্য বলে। আবার ওষুধের দোকান থেকে কম দামে ওষুধ কেনার জন্য বলে। টাকা পরে দিলেও হবে এমন কথাও বলে। তারাই অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করে। ছাড়পত্র দেওয়ার পর গত ১৫ দিন বাড়ি থেকে আনা-নেওয়া করে বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার দেখিয়ে বের হতেই রোগীকে ঘিরে ধরলেন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা। তারা প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলে। এসব কাজে রোগীর কষ্ট বাড়ে। আমাদেরও ভোগান্তি হয়। রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতাল আঙিনায় ফার্মেসি, ক্লিনিকের দালাল ও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের মহাসমাবেশ বসে। রোগী এলে শুরু হয় টানাটানি। যেন কত আত্মার আত্মীয়। পরে তাদের আসল রূপ প্রকাশ পায়। ৫০ টাকার ওষুধের বিল করে ৫০০ টাকা। ২০০ টাকার পরীক্ষার বিল হয় ২০০০ টাকা।

সর্বশেষ খবর