বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

স্মার্টফোন আসক্তিতে বিপথগামী শিক্ষার্থীরা

ফারুক আল শারাহ, লাকসাম

স্মার্টফোন আসক্তিতে বিপথগামী শিক্ষার্থীরা

অনলাইন পাঠের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। আর এ স্মার্টফোনের আসক্তিতে বিপথগামী হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লা জেলার লাকসামে প্রায় সর্বত্রই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। জানা যায়, বৃহত্তর লাকসামে (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট) স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসের অজুহাতে মোবাইল ফোন কিনে দিয়েছেন অভিভাবকরা। আবার কেউ কেউ অভিভাবকের স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। এ সুযোগে তারা প্রতিদিন ক্ষতিকর গেমস, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করে। শুধু তাই নয়, অনেকে অনলাইনে পর্নো, অনলাইন জুয়াসহ নানা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। অনেক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের এমন আসক্তি দেখে চেষ্টা করেও তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। লাকসামের আলী নোয়াব স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খিলা উচ্চবিদ্যালয়, মনোহরগঞ্জ কলেজ, নবাব ফয়জুন্নেচ্ছা সরকারি কলেজ মাঠ ও নাঙ্গলকোট হাছান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজে ঘুরে অনেক কিশোর-শিক্ষার্থীর হাতে দামি দামি স্মার্টফোন দেখা গেছে। এ সময় তাদের কেউ কেউ ‘ফ্রি ফায়ার’-সহ বিভিন্ন মোবাইল গেমস খেলায় আবার কেউ কেউ ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমুতে চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। ‘ফ্রি ফায়ার’ গেইমে আসক্ত জনৈক কলেজ ছাত্র জানান, প্রথমে পাবজি গেইম ভালো লাগত না। কিছুদিন বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন আসক্ত হয়েছি। এখন না খেললে ভালো লাগে না। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী জানান, আগে মোবাইল গেমস সম্পর্কে জানতাম না। এখন নিয়মিত খেলি। মাঝে মধ্যে খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার উপক্রম হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, তার ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে সে এখন পাঠ্যবই পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। এমন আসক্তিতে সে আর বিদ্যালয়ে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এক ব্যাংক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১৩ বছর বয়সী ছেলের স্মার্টফোন মাদকের মতো নেশায় পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর