শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

শঙ্কায় সাড়ে ৩ হাজার খামারি

লক্ষীপুর প্রতিনিধি

শঙ্কায় সাড়ে ৩ হাজার খামারি

কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে লক্ষীপুরে শঙ্কা ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার খামারি। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চলমান লকডাউনে এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন তারা। একই সঙ্গে হাট-বাজার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন গরু ব্যাপারীরা। এদিকে এবার দেশি গরুতে আগ্রহী হয়ে পছন্দের গরু কিনতে এখন ঘুর পাক খাচ্ছেন ক্রেতারা। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছেন, খামারিদের শঙ্কা কাটাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে অনলাইন প্ল্যাটফরমে গরু বেচা-কেনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৯ মাস আগে যশোর থেকে শাহীওয়াল, সিন্ধি ও নেপালিসহ উন্নত জাতের ১০টি গরু কিনে আনেন লক্ষীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম টুমচর গ্রামের খামারি রাসেল। ধার-দেনা করে প্রতিটি গরু ৫৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা হারে ১০টি গরু দীর্ঘ ৯ মাস ধরে লালন পালনে প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে তার। বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত গরু সংগ্রহে আছে এ খামারির। আসন্ন ঈদুল আজহায় ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেন রাসেল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আর চলমান লকডাউন খামারির সে স্বপ্ন পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। রাসেল জানান, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ১০টি গরু খামারে লালনপালন করছি। ঈদের আগমুহুর্তে লকডাউনে বেশি লাভের স্বপ্ন এখন ভেঙে যাচ্ছে। ঈদ পর্যন্ত কঠোর লকডাউন থাকলে গরু নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। ধার দেনা কেমনে দিবেন বুঝে উঠতে পারছেন না বলে জানান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশপাশের অন্য খামারিদেরও একই অবস্থা।

সর্বশেষ খবর