বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ লাখ ৬৪ হাজার পশু, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ লাখ ৬৪ হাজার পশু, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

এবার কোরবানির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৩ হাজার ১৬২টি খামারে ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৬টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা চাহিদার চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার বেশি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের মধ্যে গরু নিয়ে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের খামারিরা। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে হাটে দাম ভালো পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা। সারা বছর খামারে পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করার পর এখন পশুর বাজার ও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এজন্য গরুর হাট চালুর পাশাপাশি বিকল্প উদ্যোগ নেওয়ার দাবি ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের। আর খামারিদের প্রয়োজনে অনলাইনসহ ছোট পরিসরে হলেও হাট চালুর আশ্বাস সংশ্লিষ্ট দফতরের। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবারের ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার। এর বিপরীতে জেলার ৫ উপজেলায় ছোট বড় ও পরিবারিকভাবে মিলিয়ে ১৩ হাজার ১৬২টি খামারে ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৬টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গোমস্তাপুরের কাজিগ্রামের খামারি সবেদ আলী জানান, ৭ বছর ধরে ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই গরু মোটাতাজা করা হয় থাকে। করোনায় গত বছর মোটা অংকের লোকসানের পর, ঘুরে দাঁড়াতে এ বছরও তার খামারে পালন করা হয়েছে অর্ধশতাধিকের বেশি গরু। বিনোয়োগ করা হয়েছে বড় অংকের টাকা। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা ব্যাপারী সংকটে এবারও গরু বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। একই অবস্থা জেলার ছোট-বড় সব খামারিদের। তারা আরও বলছেন, গত ২ বছর ধরেই তারা লোকসান গুনছেন। এবারও লোকসান হলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। এ অবস্থায় লকডাউনে হাট চালু না হলে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন তারা। এদিকে জেলা ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুনজের আলম মানিক জানান, করোনার মহামারীতে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত বিদেশি জাতের পালন করা বড় গরুর খামারিরা। জেলার বাইরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বাজারে এসব গরু নিয়ে যেতে না পারলে স্থানীয় বাজারে নায্য দাম পাওয়া নিয়েও সংশয়ে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর