শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

পশুর হাট ভন্ডুল, গরু ছাগল নিয়ে পালালেন বিক্রেতারা

বিধিনিষেধ না মানার অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি

পশুর হাট ভন্ডুল, গরু ছাগল নিয়ে পালালেন বিক্রেতারা

প্রশাসনের লোকজন দেখে নওগাঁর পশুরহাট থেকে গরু নিয়ে পালাচ্ছেন বিক্রেতারা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে নওগাঁ ও পঞ্চগড়ে বসা দুটি পশুর হাট ভন্ডুল করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুরহাটে বসেছিল সাপ্তাহিক পশুর হাট। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো। এ সময় ভয়ে গরু-ছাগল নিয়ে হাট থেকে পালিয়ে যান বিক্রেতারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহের বুধবার বিকালে আবাদপুকুর পশুরহাট বসে। সেখানে নওগাঁসহ আশপাশের কয়েক জেলা থেকে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হন। করোনা সংক্রমণ রোধে সারা দেশে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হচ্ছে। আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গত বুধবার আবাদপুকুর পশুরহাটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। হাটে আসা বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে হাটে উপস্থিত হন ইউএনও। এ সময় ভয়ে গরু-ছাগল নিয়ে পালিয়ে যান বিক্রেতারা। মুহুর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় হাট। ইউএনও সুশান্ত কুমার বলেন, আমরা যখন দিনরাত এক করে মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দিতে মাঠে কাজ করছি, এমন সময় নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পশুরহাট বসানো শোভনীয় নয়। বিধিনিষেধের মধ্যে অন্য বাজার শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চললেও পশুরহাট বন্ধ রাখতে হবে। সরকারের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এরপরও সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মের প্রতি যারা শ্রদ্ধাশীল হবেন না তাদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্দেশনা অমান্য করায় আবাদপুকুর হাটের ইজারাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এমন অভিযান কঠোর লকডাউন চলাকালে অব্যাহত থাকবে। এদিকে পঞ্চগড়ে প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে পশুর হাট চালু করার অভিযোগ উঠেছে। রাজনগর হাটের ইজারাদার সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাটের কার্যক্রম শুরু করেন। এর আগে ওই ঠিকাদার গরু বিক্রেতাদের হাট চালুর বিষয়টি জানিয়ে দেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকে শত শত গরু আসা শুরু হয়। মুহুর্তেই রাজনগর পশুর হাটের দুটি স্থানে শত শত মানুষের ভিড় জমে। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন ও ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলাম পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের নিয়ে ছুটে যান হাটে। তারা হাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। ইজারাদার মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের মৌখিক নির্দেশে হাট চালু করেছি। পরে প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা গত বছর লোকসান গুনেছি। এবারও লোকসান গুনতে হবে। হাট চালুর নির্দেশের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে হাট চালু করায় ইজারাদার মোশারফ হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে  দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছি। 

সর্বশেষ খবর