সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

অনলাইনে আগ্রহ নেই ক্রেতা-বিক্রেতার

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

অনলাইনে আগ্রহ নেই ক্রেতা-বিক্রেতার

দিন দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে করোনা পরিস্থিতি। এ অবস্থায় পাথরঘাটার কোরবানির পশুরহাটে লকডাউনের কোনো নিষেধাজ্ঞার বালাই নেই। উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে পাথরঘাটার অধিকাংশ গরুর হাটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লকডাউন রক্ষায় কঠোর হলেও গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। উপজেলার বেশ কটি গরুর বাজার ঘুরে উপচেপড়া মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও ইজারাদার এবং গরু  ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। এদিকে মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিকল্প ব্যবস্থায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর অনলাইন পশুরহাট চালু করলেও সেখানে সাড়া নেই প্রান্তিক জনপদের গরু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। অনেকের এ বিষয়ে ধারণাও নেই। প্রান্তিক মানুষের মধ্যে এখনো বাস্তবতায় বিশ্বাসী হওয়ায় অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে কম। যার ফলে পশুরহাটে মানুষের ভিড় হওয়ায় করোনার ঝুঁকির মধ্যেও রয়েছে। সরেজমিন উপজেলার নাচনাপাড়া, কাকচিড়া, কামারহাট, মুন্সিরহাট, চরদুয়ানীসহ একাধিক কোরবানির গরুর হাটে এমন অবস্থায় জনমনে আতঙ্ক আর অসন্তোষ বেড়েই চলছে। আবার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে করোনার আতঙ্ক থাকলেও স¦াস্থ্যবিধির তোয়াক্কা নেই। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, গরুর হাটে যেভাবে মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে তাতে করোনার মাত্রা বেড়ে যাবে। মুন্সিরহাট গরুর হাটে আসা ইলিয়াছ হোসেন রিপন বলেন, করোনার ভীতি সম্পর্কে আমাদের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়েছে। শুধু মুন্সিরহাটে একদিনেই কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছে। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকলেও তাদের কেউ মানছেন না। যেভাবে মানুষ গায়ে গায়ে মিশে গেছে তাতে করোনা এখানেই বৃদ্ধি পাবে। কালমেঘা ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মে¤¦ার পিন্টু মুন্সি বলেন, যেভাবে মুন্সিরহাট পশুর হাটে মানুষ আসছে তাতে আমরা কেউ করোনা থেকে এড়াতে পারব না। আমার সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। তারপরেও আমরা এখানকার মানুষদের সচেতন করছি। করোনাকালীন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষাকারী মানুষদের মধ্যে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন দন্ড কিংবা জরিমানা আদায় করে লকডাউন এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীসহ আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

পাথরঘাটা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অরবিন্দু দাস বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার কারণে গতবারের ন্যায় এবারও অনলাইনে হাটের মাধ্যমে পশু কেনাবেচার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অনলাইনের প্রতি প্রান্তিক মানুষ অবগত নয়। আমরা অনলাইনভিত্তিক মার্কেটের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর