সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে লকডাউনের এক মাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীতে লকডাউনের এক মাস

রাজশাহী নগরীতে চলছে এক মাস ধরে লকডাউন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন থাকায় এর বিধিনিষেধ ভেঙে বের হচ্ছে মানুষ। রাস্তায় বেড়েছে মানুষের চলাচল ও যানবাহনের সংখ্যা। তবে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি রাজশাহীতে মাঠে আছে সেনা, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। এ ছাড়াও মাঠে কাজ করছে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ১১ জুন থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে দুই দফা বাড়িয়ে তা ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এরপর ১ জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। এদিকে মার্কেট খোলার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ঠেকাতে নগরীর সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটের সামনে সকাল থেকে অবস্থান নেয় পুলিশের সঙ্গে সেনা সদস্যরাও। তাদের সঙ্গে ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালতও। গত বৃহস্পতিবার এখানে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করে শনিবার থেকে মার্কেট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আবারও বিক্ষোভের আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থান নেয় প্রশাসন।

সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে তারা কাজ করছেন।

এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় আটজন মারা যান শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৪ জনের মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, এ নিয়ে চলতি মাসের ১০ দিনে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ১৭১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যায় ১ জুলাই ২২ জন এবং সবচেয়ে কম ৪ জুলাই ১২ জন। চলতি মাসে করোনা ইউনিটে মারা যাওয়াদের মধ্যে রাজশাহীর ৮৮ জন। এর আগে গত জুন মাসে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা যান ৩৫৪ জন।

শামীম ইয়াজদানী জানান, টানা পাঁচ দিন কমার পর রাজশাহীতে আবারও বেড়েছে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার। শুক্রবার দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৩৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর