দিনাজপুরের খানসামায় মোবাইল ফোনে ডেকে তিন বন্ধু মিলে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাতেই প্রেমিক সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরানকে পুলিশ আটক করে। ঘটনাটি গত শুক্রবার দিবাগত রাতে খানসামা উপজেলায় ঘটেছে। ভিকটিম ওই কিশোরী খানসামা থানায় গত শনিবার প্রেমিক সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরানসহ তিনজনের নামে অভিযোগ করেছে। অভিযোগের অপর পলাতক আসামিরা হলো, খানসামা উপজেলার সুজন ইসলাম ও মুকুল শর্মা। পুলিশ জানায়, মাস খানেক আগে মোবাইলে কথা ও পরিচয় হয় ওই কিশোরীর সঙ্গে সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরানের। এরপরে বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন প্রেমিক ইমরান। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মোবাইল ফোন করে ডেকে আনে তাকে। বাড়ির বাইরে এলে প্রেমিক ইমরান এবং ওঁৎ পেতে থাকা প্রেমিকের দুই সহযোগী সুজন ইসলাম ও মুকুল শর্মা মেয়েটিকে তুলে নিয়ে খামার লাগুয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টয়লেটের পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে স্কুলের পাশেই রাস্তার পথচারীরা এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
পরে পথচারীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। খানসামা থানার ওসি শেখ কামাল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় সেফাউল ইসলাম ওরফে ইমরানকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান অব্যাহত আছে।
