মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কোরবানির গরু নিয়ে সংকটে খামারিরা

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

কোরবানির গরু নিয়ে সংকটে খামারিরা

কোরবানি ঈদের কয়েকদিন বাকি থাকলেও পশু বিক্রি নিয়ে সংকটে ফরিদপুরের খামারিরা। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব পশুর হাট বন্ধ থাকায় হতাশা দেখা দিয়েছে গো-খামারিদের। ফলে জেলার কয়েক লাখ কোরবানির পশু নিয়ে বিপাকে খামারিরা। তবে খামারিদের কথা চিন্তা করে অনলাইন প্ল্যাটফরমে কোরবানির পশু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসক। প্রতি বছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরের খামারিরা গরু-ছাগল পালন করে আসছেন। এ বছর দেড় হাজার খামারি পশু লালন পালন করেছেন। এসব খামারে দেশি প্রজাতির গরু-ছাগল ছাড়াও পাকিস্তানি শাহিওয়াল, অস্ট্রেলিয়ান, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু পালন করেছেন খামারিরা। জেলার বিভিন্ন খামারে এ বছর বিগবস, বীর বাহাদুর, রুস্তমসহ বিভিন্ন নামের বড় বড় গরু কোরবানির উপযোগী করে গড়ে তুলেছেন। আর এসব গরু ৮ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা দাম হাকা হচ্ছে। এসব খামারে ১ লাখ থেকে বিভিন্ন দামেরও গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন তারা। মহামারী করোনার কারণে গেল বছর পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা কম থাকায় লোকসানেও গরু বিক্রি করেছেন অনেক খামারি। আর সেই লোকসান পুষিয়ে লাভের আশায় এবারও গরু পালন করেছেন গো খামারিরা। কিন্তু করোনার ভয়াল থাবায় বিভিন্ন স্থানের পশুর হাট বন্ধ থাকায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন জেলার গো খামারিরা। জেলার বেশ কয়েকজন খামারি জানান, তারা এবার বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ নিয়ে গরু লালন পালন করেছেন। এসব গরু নিয়ে তারা বেশ সমস্যার মধ্যে আছেন। করোনার কারণে হাট বন্ধ এবং দূর দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা না আসায় গরু বিক্রি করা যাচ্ছে না। অনেক খামারি গরু নিয়ে বেশ বিপাকে রয়েছে। তারা গরুগুলো নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট যাবার কথা। কিন্তু গাড়ি বন্ধ থাকায় তারা তা পারছেন না। ফলে এসব খামারির চোখে মুখে চিন্তার ছাপ দেখা দিয়েছে। দ্রুত গরুর হাটগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান খামারিরা। অনেকেই বলছেন, হাট বন্ধ থাকার কারণে তারা গরু নিয়ে হাটে যেতে পারছেন না। কেউ খামারেও আসছে না গরু কিনতে। ফলে বেশ বিপাকে রয়েছেন তারা। জেলায় করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনলাইন প্ল্যাটফরমে পশু বিক্রির কথা জানালেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

জেলা প্রশাসক বলেন, দেশে করোনার কারণে হাট বসানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। হাট বসালে একই স্থানে লোকের সমাগম বেশি হয়। ফলে করোনা ছড়ানোর শঙ্কা থেকেই যায়।

সর্বশেষ খবর