মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ওজন ২২ মণ বাদশাহর দাম ১২ লাখ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

ওজন ২২ মণ বাদশাহর দাম ১২ লাখ

শখ করে ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘বাদশাহ’। পাকিস্তানি সিংড়ি জাতের গরু এটি। দৈর্ঘ্য ৯ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ওজন ২২ দশমিক ২৫ মণ। গরুর মালিক দাম হাঁকিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। এরই মধ্যে গরুটির দাম উঠেছে ৭ লাখ টাকার ওপরে। ষাঁড়টির মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ১২ লাখ বা এর কাছাকাছি দাম পেলে গরুটি তিনি বিক্রি করবেন। স্থানীয় বিক্রেতারা গরুটি দেখতে আসছেন, বিভিন্ন দাম বলছেন। একজন ব্যবসায়ী এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাম করেছেন। কিন্তু আরও দাম পাওয়ার আশায় আছেন। নওগাঁর মান্দা উপজেলার নলঘোর গ্রামে রফিকুল ইসলামের বাড়ি। পেশায় তিনি একজন মিষ্টি বিক্রেতা। নিজেই মিষ্টি তৈরি করে স্থানীয় পিরপালী বাজারে বিক্রি করেন। বাদশাহ ছাড়াও রফিকুলের খামারে সিংড়ি ও ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি গাভী আছে। দিনের বেশির ভাগ সময় রফিকুলকে মিষ্টির দোকানেই থাকতে হয়। তার স্ত্রী ছবিয়া বেগমও মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। মা-বাবার কাজের ব্যস্ততার কারণে বাদশাহ ও অপর দুই গাভীর পরিচর্যা করে তাদের মেয়ে রিমা খাতুন। প্রায় দেড় বছর ধরে করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বেশ ভালোভাবেই গরুগুলোর পরিচর্যা করছে রিমা। সে বলে, যখন আব্বা বাদশাহকে কিনে নিয়ে আসে, তখন ওর স্বাস্থ্যই ছিল না। আড়াই বছর ধরে অনেক যত্ন করে বাদশাহকে বড় করেছি। বাদশাহর প্রতি মায়া জন্মে গেছে। ওকে বিক্রি করতে হবে ভাবলেই খুব খারাপ লাগে। ছোলা, মাষকলাই, মসুর ডালের গুঁড়া, ভুসি, খৈল, ভুট্টা, খুদের ভাত ও কাঁচা ঘাস হলো বাদশাহর প্রতিদিনের খাবার। মাঝেমধ্যে কলা ও আপেলও খাওয়ানো হয়। শুরুর দিকে কম খাবার লাগলেও এখন সব মিলিয়ে দিনে প্রায় ২০ থেকে ২২ কেজি খাবার লাগে বাদশাহর। গরুটির পেছনে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অভিমান্য চন্দ্র বলেন, রফিকুলের গরুটি আমি দেখেছি। গরুটি লালন-পালনের পরামর্শ চাইতে বেশ কয়েকবার তিনি উপজেলা অফিসে এসেছিলেন। আমাদের ডিজিটাল স্কেলে ওজন করে দেখেছি গরুটির ওজন ২২ মণের ওপরে। লাল রঙের বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির ভালোই দাম পাওয়ার কথা।

সর্বশেষ খবর