মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

আবারও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

আবারও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

চার দিনের ব্যবধানে আবারও তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ফলে নতুন করে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষের। গতকাল  ভোরে  তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে ৮ জুলাই তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।  সে সময় গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েন। সেই দুর্ভোগের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙনের ভয়ে  অনেকে বসতভিটা থেকে ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে উত্তাল হয়ে ওঠে তিস্তা। এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে দুই ইউনিয়নে প্রায় ছয় হাজার পরিবার। নদীতে বিলীন হয়ে যায় কমপক্ষে ২৫ পরিবারের বসতভিটা। লক্ষীটারী ইউনিয়নে নদী ভাঙনসহ সামনে আরও বন্যা হওয়ার শঙ্কা থাকায় অনেকে তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল হাদি জানান, তার ইউনিয়নে এখনো দেড় হাজারে বেশি মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। ২০টি পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে  চলে গেছে। এ পর্যন্ত ১৫টিরও বেশি পরিবার তাদের ঘর অনত্র সরিয়ে নিয়েছে। এদিকে কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ও পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে আগের পানি বৃদ্ধিতে অর্ধশত বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে।

 গতকাল পানি বৃদ্ধির কথা শুনে অনেকের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সকাল ৬টায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল  ৯টায় বিপৎসীমা বরাবর পানি প্রবাহিত হয়েছে। আপাতত পানি বৃদ্ধির শঙ্কা না থাকলেও এই মৌসুমে আরও একাধিবার পানি বাড়তে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন

সর্বশেষ খবর