শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতলে বেকারদের আশার আলো

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতলে বেকারদের আশার আলো

ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত বিভিন্ন প্লাস্টিকের সামগ্রী জয়পুরহাটে বেকারদের আশার আলো দেখাচ্ছে এমন একটি উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছেন জয়পুরহাটের বেকার যুবক রুহুল আমিনসহ আরও অনেকে। এসব পরিত্যক্ত প্লাস্টিক মেশিন দিয়ে কাটিং করে পাঠানো হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। এ থেকে আবারও তৈরি হয় বস্তা, সুতা, কাপড়, খেলনাসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের নতুন সামগ্রী। সদর উপজেলার দোয়ানীঘাটের বেকার যুবক রুহুল আমিন। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে এক বছর আগে ৫ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে এক একর জায়গা ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন প্লাস্টিকের কারখানা। তিনি প্রথমে মাত্র ১০ থেকে ১২ জন নিয়ে শুরু করেন এ কারখানার কাজ। এরপরে পর্যায়ক্রমে এতে কর্মসংস্থান হয়েছে এলাকার অসহায় বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসহায় ২০ গরিব মানুষের। জেলার বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা এসব প্লাস্টিক ভাঙারিওয়ালাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। পরে প্লাস্টিক মেশিনে ভাঙিয়ে পাঠানো হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। পরিত্যক্ত পণ্যে এমন প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন দেখাচ্ছে বেকার যুবকদের। প্রতিষ্ঠানে কাজ করা শ্রমিক রহিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে বিছানাগত হয়ে আছে অনেক দিন থেকে।

একমাত্র ছেলে ছিল সেও মারা গেছে। এতে আমার পরিবারে দুর্দিন চলছিল। এমন অবস্থায় এ কারখানায় কাজ পেয়ে সংসারের কষ্ট কিছুটা লাঘব করতে পেরেছি। আসলাম ফকির নামে এক শ্রমিক বলেন, এই কারখানা তৈরি অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। এখানে কাজ করে আমার মতো এলাকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। উদ্যোক্তা রুহুল আমিন ও কামাল হোসেন জানান, এসএসসি পাস করার পর করোনার কারণে সেই থেকে কলেজ বন্ধ রয়েছে। এ জন্য বেকার বসে না থেকে নিজে কিছু করার জন্য ও এলাকার কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে এই উদ্যোগ নেই। প্রথমে এখানে ১০ জন শ্রমিক কাজ করলেও বর্তমানে এখানে ২০ জনের মতো শ্রমিক কাজ করছে। তিনি জানান, এখান থেকে প্রতি মাসে উৎপাদন হয় প্রায় ১০ টন ক্লাটিং করা প্লাস্টিক। এসব থেকে এখানে সরাসরি পণ্য উৎপাদন করা গেলে আরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতো এবং সরকারও রাজস্ব পেত। কিন্তু এতে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই সরকারি সহযোগিতা পেলে এ কার্যক্রম আরও বাড়ানোর আশা তার।

সর্বশেষ খবর