শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

এক রাতে নদীগর্ভে ২০ বসতঘর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

এক রাতে নদীগর্ভে ২০ বসতঘর

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচিল শরীফ মোড় এলাকায় গত বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। রাতের মধ্যেই ২০টি বসতঘর ও একটি মসজিদ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয়রা জানান, মাত্র এক মাস আগে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলা হলেও তা কাজে আসেনি। জিওব্যাগসহ সব নদীর পেটে চলে গেছে। পাঁচিল শরিফ মোড় গ্রামের কহিনুর বেগম, মঞ্জুআরা, হাসনা, আবদুস সাত্তার, আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহিম জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে যমুনায় হঠাৎ ঘূর্ণাবর্ত শুরু হয়। জিওব্যাগসহ সব ধসে যেতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যায়। হঠাৎ ভাঙন শুরু হওয়ায় ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ারও সময় পাওয়া যায়নি। চোখের সামনে নদীতে বিলীন হয়ে যায় সবকিছু। এখন খোলা আকাশের নিচে অথবা পলিথিন টাঙ্গিয়ে বাস করতে হচ্ছে তাদের। ভাঙনের শিকার অনেকের ঘরে খাবার নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় চুলা জ্বলেনি। অনাহারে-অর্ধাহারে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। স্থানীয়দের অভিযোগে, ভাঙন রোধে এক মাস আগে বালুভর্তি বস্তা ডাম্পিং করায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছিল। গত দুই দিন আগেও নতুন করে কিছু বস্তা এখানে ডাম্পিং করা হয়েছিল। সঠিকভাবে ডাম্পিং না করায় ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে ১০০ মিটার এলাকা ধসে যায়। সেই সঙ্গে একটি মসজিদ ও ২০টি বাড়িঘর নদীতে হারিয়ে যায়। শাহজাদপুরের ইউএনও শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলা হয়েছিল। প্রবল ঘূর্ণাবর্তের কারণে তা টেকেনি। পাউবো কর্মকর্তারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর