মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

যমুনায় ভাঙছে সারিয়াকান্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

যমুনায় ভাঙছে সারিয়াকান্দি

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর বন্যার সময় ভাঙন সৃষ্টি হলেও এ বছর বন্যার আগেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনা নদী বেষ্টিত সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের রৌহদহ, ইছামারা, গোদাখালি গ্রামের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনার গর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। এসব পয়েন্টে ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, প্রতিবছর বন্যায় ভাঙন দেখা দেয় যমুনা নদীতে। ভাঙনের ফলে এ পর্যন্ত অসংখ্য পরিবার বসতভিটা ছাড়া হয়েছে। এ বছর বন্যার আগেই যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ধলিরকান্দি থেকে রৌহদহ পর্যন্ত আট কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে পানি চুয়ে পড়ার কারণে বাঁধটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বেশ কিছু পয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে করে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বøকও ধসে যাচ্ছে। কামালপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ, ইছামারা, গোদাখালি, এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় মানুষ উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ ইতিমধ্যে ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে, কামালপুর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, ইছামারা, গোদাখালি, কড়িতলা গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনো পানি বিপৎসীমার অনেক নিচেই রয়েছে। পানি বাড়ার কারণে যমুনার ডাকাতমারা, মূলবাড়ি, ইন্দুরমারা, কাজলা, বেনিপুর, বাওইটোনা, বেড়াপাঁচবাড়িয়া, চরদলিকা, চালুয়াবাড়ি, বেনিপুর, শোনপচা, চরঘাগুয়াসহ প্রায় ১১২টি চরের আশপাশে পানি এসে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি কমে গেলেই এসব এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দেবে। সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন জানান, গত এক মাস ধরে ৩-৪টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন বেশি হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু জিও বস্তা ফেলে চলে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন ঠিকাদারের মাধ্যমে যৎসামান্য জিও বস্তা ফেলে চলে গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ভাঙনকবলিত পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন তাদের বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এদিকে অতিবৃষ্টি আর উজানে পানি বৃদ্ধি পেলে যমুনার ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনার পানি বিপৎসীমার ৭২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কিছু এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে বালি ভর্তি জিও বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে। সারিয়াকান্দির কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদাইদুল ইসলাম বলেন, কামালপুরের বেশ কিছু স্থানে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

জরুরি ভিত্তিতে কাজ না করলে যমুনায় পানি বাড়লে ওই পানি গ্রামে গ্রামে প্রবেশ করবে।

সর্বশেষ খবর