মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

রংপুরে পিসিআর ল্যাবে সক্ষমতার চেয়ে বেশি করোনার নমুনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে পিসিআর ল্যাবে সক্ষমতার চেয়ে বেশি করোনার নমুনা

রংপুর মেডিকের কলেজে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা ১৮৮ জনের। প্রতিদিন পরীক্ষা হয় কমপক্ষে ৮০০ জনের। সক্ষমতা বাড়াতে ১০ দিন আগে ঢাকা স্বাস্থ্য বিভাগে আরও একটি পিসিআর মেশিন চেয়ে আবেদন পাঠানো হলেও তা আজও আসেনি। ফলে করোনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গতকাল সকালে জরুরি ভিত্তিতে ১ হাজার লোকের করোনা পরীক্ষার  ফলাফল জানার জন্য ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে উপসর্গ নিয়ে যারা করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন তারা জানতে পারবেন তাদের দেহে করোনা রয়েছে কিনা। নির্ধারিত সময়ে করোনা উপসর্গ রোগীদের নমুনার পরীক্ষার ফলাফল না পাওয়ায় শঙ্কা কাজ করছে উপসর্গ রোগীদের মাঝে। অনেকেই এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করছেন ফলাফলের জন্য। রিপোর্ট আসার অনেক আগেই কেউ সুস্থ হচ্ছেন। কেউবা সংক্রমিত হচ্ছেন। রংপুর সিটি করপোরেশনে ১০ লাখ লোকের ভাগে প্রতিদিন ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যায়। অথচ প্রতিদিনই  কয়েক শ লোক নমুনা দিচ্ছেন। সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের অনেকেই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাননি। সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, রংপুর নগরীসহ জেলার আট উপজেলা থেকে দৈনিক কমপক্ষে ৮০০ নমুনা পাওয়া যাচ্ছে। বেশি নমুনা পাওয়ায় গত ১০ দিন ধরে সঠিক সময়ে পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি জানান, এখনো পাওয়া যায়নি শুধু রংপুরের ২ হাজারের বেশি নমুনার ফলাফল। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু জানান, পিসিআর ল্যাবে সর্বোচ্চ দৈনিক ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। আরও একটি পিসিআর মেশিন চেয়ে ঢাকায় আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সকালে ১ হাজার নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একটি মাত্র পিসিআর ল্যাবেই ভরসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধা জেলার। এই চার জেলার উপসর্গ দেখা দেওয়া মানুষদের করোনার নমুনা পাঠানো হচ্ছে এখানে। বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে কমপক্ষে আরও দুটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা গেলে নমুনা পরীক্ষার চাপ কমবে বলে তিনি জানান।

 

সর্বশেষ খবর