করোনার এই সময়ে এই ঈদে প্রতিটি মার্কেটের দোকান ও শপিংমল সাজানো হলেও বেচাকেনা জমেনি এবার। তবে বিভিন্ন মুদিখানা ও মসলার দোকানে কিছুটা ভিড় ছিল। অন্যদিকে বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়, যদিও স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে তরুণ-তরুণীদেরই বেশি লক্ষ্য করা গেছে এবার। ঈদ ঘনিয়ে এলেও করোনা আর কোরবানির ঈদ হওয়ার কারণে জমেনি ঈদের কেনাকাটার বাজার এমনটাই বললেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। জেলা শহরের কিছু মার্কেটের দোকানে একটু ভিড় থাকলেও বড় দোকান ও শপিংমলে ভিড় ছিল না। আর শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলার দোকান ও শপিং মলগুলোতে ছিল না ভিড়। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগে থেকেই বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়, এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে। ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি, এখনো মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটায় তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ঈদ বাজার হিসেবে বাজারের দোকানগুলোতে যতোটা বেচাকেনা হওয়া দরকার, ততটা হচ্ছে না। প্রয়োজন ছাড়া এবার কেনাকাটায় তেমন উৎসাহ নেই ক্রেতাদের মনে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এমন অবস্থা, ব্যবসাও তেমন ভালো যাচ্ছে না। অথচ অন্যান্য বছর এ সময়ে ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম থাকত পৌর শহরের বিপণি-বিতানগুলো। ফুলবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির নেতা সহকারী অধ্যাপক শেখ সাবীর আলী বলেন, এ বছর কৃষকের উৎপাদিত ফসলের মূল্য ভালো পেলেও বর্তমানে আমন চাষাবাদের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কৃষক। সেই সঙ্গে কোরবানির গরু-ছাগল কেনাবেচা নিয়েও খানিকটা ব্যস্ত মানুষ। অপরদিকে করোনার কারণে অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ফলে দিন মজুরদের হাতে টাকা-পয়সা তেমন নেই। একই রকম অবস্থা মধ্যবিত্তদেরও। আবার করোনায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় বেতন-বোনাস না থাকায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সে কারণে তারাও এবার ঈদের কেনাকাটায় অংশ নিতে পারেনি। তাই দোকানগুলোতে ক্রেতাদের তেমন ভিড় নেই। ফুুলবাড়ী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী, সোহেল রানাসহ বেশকিছু ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে বেচাকেনা খুব খারাপ চলছে। যেখানে ঈদে এ সময় ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেলানোর ফুরসত পাই না, সেখানে সারা দিনে অল্পসংখ্যক ক্রেতারা আসছেন। এখনো পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়নি, ঈদের আগেরদিন হয়তো ক্রেতাদের ভিড় জমতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
