শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

জনবল সংকটে মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

জনবল সংকটে মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসারসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকট থাকায় চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে হাসপাতালটির কার্যক্রম চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার লাখো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট চললেও মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ফলে উপজেলাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। হাসপতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পদ পূরণ থাকলেও জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি, মেডিসিন, সার্জারি, এনেসথেসিয়ার তিনটি পদই শূন্য। দুইজন মেডিকেল অফিসারের জায়গায় আছে একজন। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তিনজনের স্থলে আছে একজন। ফার্মাসিস্ট পাঁচজনের স্থলে দুজন, এমটি ল্যাব দুজনের স্থলে একজন, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১৪ জনের স্থলে ১২ জন, মিডওয়াইফ সাতজনের স্থলে ছয়জন। উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ১১ জনের স্থলে নয়জন রয়েছে। পরিসংখ্যানবিদ, স্টোরকিপারের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদই শূন্য। এ দুটি পদ শূন্য থাকার কারণে নিয়মতি কাজকর্ম চালানো সমস্যা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দুটি পদই শূন্য। সহকারী পরিদর্শক ছয়জনের স্থলে দুজন, স্বাস্থ্য সহকারী ২৬ জনের স্থলে ১৮ জন, জুনিয়র মেকানিক একটি পদ তা শূন্য, এমএলএসএস আটজনের স্থলে তিনজন, ওয়ার্ডবয় তিনজনের স্থলে একজন, আয়া দুটি পদই শূন্য, মালি একটি পদ তা শূন্য, কুকমশালচি দুজনের স্থলে একজন, নৈশপ্রহরী দুটি পদই শূন্য থাকায় রাতে পাহারা সম্যসায় ভুগতে হয়। সুইপার পাঁচজনের স্থলে ২ জন আছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনবল কম থাকায় কোনো কোনো ব্যক্তি তিনটি পদের দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে কভিড সংক্রান্ত কাজ করতে হচ্ছে দুজনকে।  প্রতিদিন স্যাম্পল সংগ্রহ করে তা ফরিদপুরে প্রেরণ ও রিপোর্ট সংগ্রহ করতে জেলায় নিয়মিত যোগাযোগ করতে হচ্ছে। এ ছাড়া আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি বিকল থাকায় হাসপাতালে আসা সংশ্লিষ্ট রোগীদের হাসপাতালের বাইরে কোনো ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাম করাতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

এতে রোগীদের ও তাদের স্বজনদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কবির সরদার জানান, হাসপাতালে ওষুধ পর্যাপ্ত আছে। অক্সিজেনের চাহিদা যা আছে সে পরিমাণ জোগান আছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায়  চিকিৎসাসেবা দেওয়া  হয়। ৫০ শয্যা চালু হলে রোগীদের শয্যা সমস্যাসহ অন্যান্য সংকট কেটে যাবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সালাম জানান, দেশের এই প্রেক্ষাপটে হাসপাতালে যথেষ্ট সেবা দেওয়ার পরিবেশ রাখা হয়েছে। সর্বদা সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হলে আরও রোগীদের সেবার মান উন্নত হবে। তবে রোগী ও অন্যান্য সেবার মান বাড়াতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির জনবল পূরণ হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে মধুখালীবাসী।

সর্বশেষ খবর