শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

পাট নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন নওগাঁর চাষিরা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

পাট নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন নওগাঁর চাষিরা

এক সময় পাটকে সোনালি আঁশ বলা হতো। কিন্তু এ সোনালি আঁশ কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছিল তখন অনেক কৃষকই পাট চাষ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষক পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে আবারও পাটের সুদিন ফিরে আসছে। পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে পাট ও পাটজাতদ্রব্যে ব্যবহার বাড়াতে ভোক্তাদের আগ্রহী করা হচ্ছে। অপরদিকে পাট চাষে আগ্রহী করতে চাষিদের সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। গত বছর থেকে আবারও পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন চাষিরা। মাঝখানে পাটের আবাদ কমলেও আবারও পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। পাটজাতদ্রব্যের ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হলে পাটের আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও পাট উন্নয়ন অফিস কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি। সেখানে ৫ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। যেখানে প্রায় ৭৭ হাজার ৩৬৫ বেল পাট উৎপাদিত হবে। কম পরিমাণ জমিতে চাষ হলেও গত বছর বাজারে ভালো দাম পেয়েছিল চাষিরা। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলার পাটের আবাদ হয়েছিল ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর দেশি, তোষা এবং মেস্তা জাতের পাট চাষ করেছেন কৃষক। দেশি জাতের মধ্যে সিভিএল-১ ও ডি-১৫৪, তোষা জাতের মধ্যে ও-৪, ৭২, চাকা ও বঙ্গবীর এবং মেস্তা জাতের পাট উল্লেখযোগ্য। যেখানে দেশি জাতের ৫০০ হেক্টর, তোষা জাতের ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর এবং মেস্তা জাতের ৪০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯১০ হেক্টর, রানীনগরে ৩৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ২৩৫ হেক্টর, বদলগাছীতে ১ হাজার ৮১৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ১১৫ হেক্টর, পত্নীতলায় ২৩ হেক্টর, ধামইরহাটে ১ হাজার ৫২০ হেক্টর, মান্দায় ১ হাজার ৯৯০ হেক্টর। গত বছর প্রকারভেদে প্রতি মণ পাট ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এদিকে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং পাট সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় জেলার ৪টি উপজেলায় ১০ হাজার ১৮০ জন পাট চাষিকে বীজ ও সার এবং ৪০০ জন পাট চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর