করোনা আর লকডাউনে সবাই যখন জবুথবু-গৃহবন্দী, সেসময়ে প্রকৃতির রানী বান্দরবান খুলে বসেছে এক মঙ্গলকাব্য। ঘাসহীন বালুময় কর্দমাক্ত ঐতিহাসিক রাজার মাঠটি এই মঙ্গলকাব্যের প্রচ্ছদ পাতা যেন। নানা কাজে-অকাজে, সভা-সমাবেশে, পূজা-পার্বণে, মেলা-মাহফিলে যথেচ্ছ ব্যবহারে সবুজ ঘাসের চিরচেনা এই মাঠ যখন তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছিল ঠিক সেই সময় করোনায় সব আনুষ্ঠানিকতা বন্ধের সুযোগে রাজার মাঠে নিপুণ হাতে সবুজ ঘাসের এক প্রচ্ছদ চিত্র অঙ্কনের ঘটনাটি ঘটে গেল। মাঠের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে তাকালে পরিকল্পিত সবুজ ঘাসের দোলা চোখে পড়ে। কোথাও উঁচু-নিচু নেই, ধুলি কর্দম নেই, খানা-খন্দ নেই। একখ তুলতুলে গালিচা হয়ে উঠেছে বান্দরবান শহরের মুক্তাঙ্গনখ্যাত ঐতিহাসিক বোমাং রাজার মাঠ। উদোম এই মাঠে সবুজের মঙ্গলকাব্য রচনায় আড়ালে থেকে কাজ করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী ও বান্দরবান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং। আর এই মঙ্গলকাব্যে ছবি এঁেকছেন এডভোকেট রাহুল এবং আরও কয়েকজন খেলাপাগল তরুণ। নিজেদের খরচে প্রায় দুই মাসের পরিচর্যায় মরুভূমিসম রাজার মাঠ মরুদ্যানে রূপ নিয়েছে। এর আগে পুলিশ সুপারে দায়িত্বে থাকাকালে কামরুল আহসান মাঠের দুপাশে বকুল ফুলের যেসব চারা লাগিয়েছিলেন সেগুলোও এখন অনেক বড় হয়েছে।