সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

বোরোয় নারীর বেকারত্ব মোচন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

বোরোয় নারীর বেকারত্ব মোচন

বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে জয়পুরহাট জেলায়। এ জেলার চাতালগুলোতে চলছে ধান সিদ্ধ এবং শুকানোর কাজ। দীর্ঘদিন পর এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী-পুরুষ শ্রমিকরা। চাতালে কাজ করে বাড়তি আয় করতে পারায় নারী শ্রমিকরা খুশি। বোরোয় নারীর বেকারত্ব মোচন করায় তারা আশার আলো দেখছেন। জয়পুরহাট খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং চাতাল মিল মালিক সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে সরকার ৪০ টাকা কেজি দরে ১৮ হাজার ১৫৮ দশমিক ৯৯ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করবে। পাঁচ উপজেলার ৩৭৫টি অটো এবং সাধারণ মিল মালিকরা এ চাল সরবরাহে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। আক্কেলপুর পৌরসভা এলাকার সোনামুখী মহল্লার মেসার্স চাতাল ও মিল মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, তার মিলে পুরুষের পাশাপাশি ৭-৮ জন নারী শ্রমিক কাজ করেন। নারীরা ৫০০ এবং পুরুষরা ৮০০ টাকা করে মজুরি পান। চাতালে কাজ করা শ্রমিক ফাতেমা এবং বিজলী জানান, অনেক দিন চাতাল বন্ধ থাকায় বেকার ছিলেন তারা। এখন কাজ করতে পেরে তারা খুশি। কালাই উপজেলার পাঁচশিরা বাজারে চাতালে কাজ করছেন মোর্শেদা, মোমেনা, ছাবেরা ও মজিরন। তারা জানান, চাতালে তারা ধান সিদ্ধ ও শুকানোর কাজ করে প্রতি বস্তায় ২২ টাকা মজুরি পান। সে হিসাবে তাদের প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়। অনেক দিন ধরে কোনো কাজ ছিল না। বোরো ধান সবার জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। সদর উপজেলার পুরানাপৈল বাজারের ন্যাশনাল ফুড মিল ও চাতাল মালিক সুশীল চন্দ্র মন্ডল বলেন, জেলার চাতাল মালিকরা সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করে সবাই এখন উৎপাদনে ব্যস্ত। জয়পুরহাটে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার নারী শ্রমিক রয়েছেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদুর্শী বলেন, জয়পুরহাটের মিলারদের কাছ থেকে এ মৌসুমে ১৮ হাজার ১৫৮ দশমিক ৯৯ মেট্রিক টন চাল কেনা হবে। মৌসুম চলায় নারী ও পুরুষ শ্রমিকের কদর বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর