লকডাউনে আয়োজিত এক বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়েই খাবার ফেলে পালাল বরযাত্রীসহ কনে বাড়ির আমন্ত্রিত আত্মীয় স্বজনেরা। ঘটনাটি জেলার পাহাড়ি সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরের। গতকাল সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনসমাগম করে বিয়ের আয়োজন করায় জরিমানা গুনতে হয়েছে আয়োজকদের। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার পৌর শহরের চরমোক্তারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। একটি বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে কনের বাবা মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে টেবিলে খাবার রেখেই পালিয়ে যায় বরযাত্রী থেকে শুরু করে কনের বাড়ির আত্মীয় স্বজনরাও। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় একই বাড়িতে জাঁকজমক করে মেয়ের হলুদ সন্ধ্যার আয়োজন করেন শহিদুল ইসলাম। গতকাল চলমান এই লকডাউনের মধ্যেই প্রায় ২০০ জন মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বরযাত্রীসহ আশপাশের বাসিন্দারা কারও কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই খাওয়া দাওয়া ও আনন্দ করতে দেখা যায়। প্রশাসনের উপস্থিতিতে মুহূর্তেই খালি হয়ে যায় বিয়ে বাড়ি।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তায় রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা কনের বাবাকে।   উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান জানান, চলমান এই লকডাউনে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাজনৈতিক সভা, বিয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ মানুষের জনসমাগম সংঘটিত হয় এমন সব স্থানেই এই নিষেধাজ্ঞার আওতায়। যারাই এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনসমাগম করার চেষ্টা করছেন আমরা তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে জরিমানার আওতায় আনছি। কনের বাবা এই নিষেধ অমান্য করে জনসমাগম কারায় তাকে অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন করেছেন কাজী।