কুষ্টিয়ায় দরপত্রে অংশগ্রহণের অপরাধে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ঠিকাদারকে হাতুড়িপেটা করেছে একদল সন্ত্রাসী। গতকাল সকালে কুষ্টিয়া এলজিইডি অফিসের সামনেই এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঘিরে ধরে ঠিকাদারকে হাতুড়িপেটার এ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নির্যাতনের শিকার ঠিকাদার শাহিদুর রহমান মিন্টু (৪৮) কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শানপুকুড়িয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি শহরে পুলিশ লাইনসের সামনে ভাড়া বাসায় থাকেন। ঠিকাদার জানান, তিনি একজন ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারি করে আসছেন। এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসিসহ প্রায় সব দফতরেরই তাঁর নিজ নামে লাইসেন্স রয়েছে। তিনি জানান, কুষ্টিয়া এলজিইডির অধীন প্রায় ৭ কোটি টাকার মিরপুর সড়কের ঘোড়ামারা আরএসডি থেকে পোড়াদহ জিসি ভায়া মসেন রোডের দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল চলতি বছরের ৩ মার্চ। কাজটি তিনি না পেলেও দরপত্র দাখিলের পর থেকেই কুষ্টিয়ার প্রভাবশালী এক নেতা একজন ঠিকাদার তাকে মুঠোফোনে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। হুমকির কারণে তিনি তিন মাস ধরে মিরপুর উপজেলার কুর্শা মসজিদ থেকে সুতাইল জোড়া সেতু রোড পর্যন্ত এলজিইডির ১ কোটি টাকার রাস্তার কাজ শুরু করতে পারছেন না। মিন্টু জানান, গতকাল তিনি প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে এলজিইডি অফিস থেকে বের হয়ে সামনের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এসে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শহরের পূর্ব মজমপুরের বরকতের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে হাতুড়িপেটা শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি এলজিইডি অফিসের ভিতরে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।

হামলার এ দৃশ্য কে বা কারা মুঠোফোনে ধারণ করে দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। ঠিকাদার মিন্টু জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি মুঠোফোনে আবারও একের পর হুমকি পাচ্ছেন। তিনি প্রাণভয়ে রয়েছেন। হুমকিদাতা ও হামলাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করারও সাহস পাচ্ছেন না।