শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

দিনাজপুরের ঘাঘড়া খাল আবর্জনার ভাগাড়

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ঘাঘড়া খাল আবর্জনার ভাগাড়

দিনাজপুর শহরের পানি নিষ্কাশনের ঘাঘড়া খালটি সঠিক পরিকল্পনা ও নজরদারির অভাবে খননের দেড় বছর পার না হতেই আবারও আবর্জনার ভাগাড়ে আর অবৈধ দখল শুরু হয়েছে। খালের বিভিন্ন এলাকায় ময়লা আর আবর্জনায় ভরে গেছে। পরিবেশকে করছে দূষণ। এতে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর এসব আবর্জনার ভাগাড়ে জন্ম নিচ্ছে কোটি কোটি মশা। যা নগরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। অন্যদিকে কোথাও কোথাও দখল হওয়ায় কমে গেছে খালের প্রশস্ততা। কিন্তু মনে হয় এটার দেখভালের দায়িত্বে কেউ নেই এমনটাই বললেন নগরবাসী। অথচ দিনাজপুর শহরের জলাবদ্ধতা দূর এবং বন্যা থেকে রক্ষা পেতে ১৫ কিলোমিটার ঘাঘড়া খালটি পরিবেশবান্ধব করার প্রত্যয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং খননকাজ করে দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। শহরের ঘাঘড়া ও গিরিজা খাল দীর্ঘদিন সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে অবৈধ দখল আর আবর্জনায় ভরাট হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে, আবর্জনার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশদূষণ এবং জলাবদ্ধতা। সংস্কার, সংরক্ষণ ও দখলমুক্ত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে উচ্ছেদ অভিযান। ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘাগড়া খালের ২৯ কিলোমিটারের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার খননকাজ সম্পন্ন হয়। কিন্তু খননের পর আবারও অবৈধ দখলের অভিযোগ সাধারণ নগরবাসীর। দিনাজপুর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু বলেন, নাগরিক সমাজ মনে করছে পরিকল্পনা ও নজরদারির অভাবে সুফল পাবে না নগরবাসী। খননের পর কিছু এলাকায় আবারও দখল হচ্ছে স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-সহকারী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর জামান জানান, খালটি খননের পর শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে।

বড় বড় শহরে এসব ক্যানেলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ দেখভাল করে থাকে পৌরসভা। এখানেও দেখার কথা দিনাজপুর পৌরসভার। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসব কাজের বরাদ্দ নেই। উল্লেখ্য, দিনাজপুর শহরের জলাবদ্ধতা দূর করতে ১৬৩ বছর আগে ১৮৫১ সালে ইংরেজ ডিস্ট্রিক কালেক্টর মি. স্কটের আমলে মহারাজা গিরিজানাথ দৃষ্টিনন্দন ঘাঘড়া ও গিরিজা ক্যানেল দুটি খনন করেন। শহরের মাঝখান দিয়ে বহমান এই ক্যানেলটি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি খনন করে। ক্যানেল দুটি সংস্কার, সংরক্ষণ ও দখলমুক্ত হলে সুফল পাবে শহরের ৩ লাখ ২৫ হাজার মানুষ।

সর্বশেষ খবর