বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাঙনে দিশাহারা সদরপুরবাসী

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ভাঙনে দিশাহারা সদরপুরবাসী

ফরিদপুরের সদরপুরে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের কারণে সদরপুর উপজেলার চরনাসিরপুর, চরমানাইর ও ঢেউখালী ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙন কবলিতরা জানান, গত কয়েকদিন নদের পানি কমতে থাকায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত এক সপ্তাহে আড়িয়াল খাঁর ভাঙনে সদরপুরের চরনাসিরপুর ইউনিয়নের মফিজউদ্দিন হাজীর কান্দি, হালিম হাওলাদারের কান্দি, নাজির মাহমুদ হাজির কান্দি, ওহেদ জমাদ্দারের কান্দির শতাধিক ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকার কয়েকশ একর ফসলি জমি, গাছপালা, ধান, পাটসহ বিভিন্ন সবজি বাগানও নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া চরমানাইর ইউনিয়নের আদেল উদ্দিন মোল্যার ডাঙ্গী, চর অজুর্ন পট্টি, আমির খাঁর কান্দি, রহমত উল্লাহ মাতুব্বরের কান্দি এবং ঢেউখালী ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকায় ব্যাপক হারে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা বেশ থাকায় অনেকেই তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নিতে পারছে না। ভাঙনের  হুমকির মুখে রয়েছে মফিজদ্দিন হাজীর কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়ারচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ বহু ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। আতঙ্কে রয়েছেন চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার। মফিজউদ্দীন হাজীর কান্দি গ্রামের শামসুদ্দীন মুন্সি বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙনের কবলে পড়ে।  হারিয়ে যায় ফসলি জমি। ভাঙন শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় চেয়ারম্যান শুধু আশ্বাসই দেয়। কাজের কাজ কিছুই হয় না। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, নদী ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে ঢেউখালী ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চরনাছিরপুর ইউনিয়নে ভাঙনকবলিত এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব রেখেছি। প্রস্তাবটি পাস হলে কাজ শুরু করা হবে।

সর্বশেষ খবর