বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ভরসা বাঁশের সাঁকো

সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ (সিলেট)

ভরসা বাঁশের সাঁকো

কারোর টাকা কিংবা সরঞ্জাম। কেউ দেন শ্রম। বাঁশ, বেত, রশি, আর চট দিয়ে বছরে দু’বার অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করেন তারা। একাধিকবার দেওয়া হয় জোড়াতালিও। তবুও মাঝেমধ্যে ভেঙে গিয়ে, ব্যাহত হয় চলাচল। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবী মানুষ। একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এভাবেই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের রামধানা শেখের গাঁও পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দারা। সাঁকো দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা হলেও, বর্ষায় ভোগান্তি বাড়ে দ্বিগুণ। খাল পেরিয়ে গভীর কাদাজল মাড়িয়েই গন্তব্যে যান তারা। শেখের গাঁও পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা বশর আলী বলেন, আমাদের পাড়ার প্রবেশ পথের মাঝ দিয়েই প্রবাহিত গোয়ালি খাল। এক সময় কলা গাছের ভেলায় ও কয়েকটি বাঁশ একসঙ্গে জুড়ে দিয়ে তৈরি করা সাঁকোতে পার হতাম। সাঁতরে নেওয়া হতো গবাদি পশু। শিশু শিক্ষার্থী ও বয়স্কদের জন্যে এ এটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে, ধরন পাল্টানো হয় সাঁকোর। আড়াআড়ি বাঁশের ফলা জুড়ে, তিন হাত প্রস্থের সাঁকো তৈরি করা হয়। ২০ বছর ধরে, এ ভাবেই চলছি আমরা। গ্রামের কলেজছাত্র ফয়সল ইসলাম বলেন, জন্ম থেকে এখানে বাঁশের সাঁকো দেখছি। পাড়ায় যানবাহন প্রবেশের  সুযোগ নেই। রাত-বিরাতে অনেক সময় রোগীদের নিয়ে আমরা বিপাকে পড়ি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল বলেন, এ স্থানে দুই বার সেতু নির্মাণ প্রকল্প সরকারিভাবে অনুমোদন হয়। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজনের আপত্তির কারণে সেতু না করেই, ফেরত দিতে হয় বরাদ্দের অর্থ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরপ্রশাসক সুমন চন্দ্র দাস বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর