বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সুনামগঞ্জে চিকিৎসাসেবা অপ্রতুল বেড়েছে করোনা সংক্রমণ-মৃত্যু

মাসুম হেলাল, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জে চিকিৎসাসেবা অপ্রতুল বেড়েছে করোনা সংক্রমণ-মৃত্যু

সুনামগঞ্জে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। হাওর অধ্যুষিত ২৮ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় নেই কভিড-১৯ আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা। করোনা শুরুর পর জেলা সদর হাসপাতালে ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা, হাই-ফ্লু অক্সিজেন সিস্টেম ও আইসিইউ না থাকায় গুরুতর রোগীদের নিতে হয় সিলেটে। কভিড আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবার সব ধরনের ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার দাবি জেলাবাসীর। সিভিল সার্জন অফিস জানায়, সুনামগঞ্জে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার দুজন। মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ জনের অ্যান্টিজেন নমুনা পরীক্ষায় ৪৭ জন পজিটিভ হয়েছেন। সাম্প্রতিক সংক্রমণের উচ্চ হার দেখা যাচ্ছে। জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনে ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করে কর্তৃপক্ষ। শুরুতে এ ইউনিটে রোগী কম থাকলেও সংক্রমণ বাড়ায় রোগী বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে যাদের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায় কিংবা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাদের চিকিৎসার জন্য এই ইউনিটে নেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও হাই-ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ। হাসপাতালটিতে চালু হয়নি কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সিস্টেমও। জটিল রোগীদের সিলেট পাঠানো ছাড়া বিকল্প থাকে না। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার (গতকাল) বিকাল ৩টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে ৫০ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনকে পাঠানো হয় সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে সিলিন্ডারে অক্সিজেন দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে প্রতি মিনিটে রোগীকে সর্বোচ্চ ১০ লিটার মাত্রার অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। কিন্তু অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে মিনিটে ৩০-৪০ লিটার প্রয়োজন পড়ে। হাসপাতালে হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় এমন জটিল রোগীদের সিলেট রেফার্ড করা ছাড়া উপায় থাকে না। সূত্র আরও জানায়, গত বছর সদর হাসপাতালের পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১০ শয্যার আইসিইউ স্থাপনের উদ্যোগ নেয় ইউনিসেফ। চলতি বছরের মে মাসে শুরু হয় আইসিইউ ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালুর কাজ। জুনের মধ্যে এটি চালুর কথা থাকলেও ক্রমেই সময় পেছানো হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ জজ আদালতের আইনজীবী হুমায়ূন কবির বলেন, ‘জেলায় করোনা আক্রান্তদের জন্য পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা জরুরি।’ সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইসিইউ চালুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। ইউনিসেফের কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেছি। মাস দেড়েকের মধ্যে আইসিইউ চালু করা সম্ভব বলে আমাকে জানানো হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর