বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে খানাখন্দ, বাড়ছে দুর্ঘটনা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে খানাখন্দ, বাড়ছে দুর্ঘটনা

ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ বাড়ছে। খানা-খন্দে পড়ে ছোট যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। গর্তের কারণে কিছু অংশে ধীরগতিতে যান চলাচল করে। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা এলাকায় বেশি খারাপ অবস্থা। এ ছাড়া চান্দিনার মাধাইয়া, কুটম্বপুর ও  ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় সড়কে ঢেউ হয়ে গেছে। কিছু স্থানে গর্ত রয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াজার অংশে, নোয়াবাজার, মিরশ্বানি বাজার অংশে, সৈয়দপুর, আমানগন্ডা, হাঁড়িসদার বাজার অংশে, পৌরসভার কালিবাজার, চৌদ্দগ্রাম বাজারের দোয়েল চত্বর, বাতিসা বাজার, আমজাদের বাজার, চিওড়া রাস্তার মাথা, পদুয়া রাস্তার মাথা ও লাটিমী অংশে রয়েছে কয়েক হাজার গর্ত। সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী এলাকায়, লালবাগ, কমলাপুর, মস্তাপুর, পদুয়ার বাজার এলাকায় গর্ত রয়েছে। বৃষ্টি হলে গর্তগুলো ভরাট হয়ে যায়। সেই গর্তে প্রাইভেট কার, সিএনজি অটো রিকশা, মারুতি ও মোটরসাইকেল বেশি দুর্ঘটনায় পড়ে।  সম্প্রতি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু তার এলাকার মহাসড়কের দুরবস্থা নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ওই ভিডিওতে তিনি দাবি করেন দুই দিনে কসমস পাম্পের নিকট গর্তে পড়ে ৫০ জনের মতো মোটরসাইকেল চালক আহত হন। চৌদ্দগ্রামের বাসিন্দা আবুল বাশার রানা জানান, মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশে অনেক গর্ত রয়েছে। সেগুলোতে পড়ে মানুষ আহত হচ্ছেন। মহাসড়কটির গর্ত ভরাটের পাশাপাশি স্থায়ী সংস্কার প্রয়োজন। সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু বলেন, মহাসড়কে গর্তেও কারণে মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। ফেসবুকে ভিডিও দেওয়ার পর আমার অংশের মহাসড়কের গর্ত সংস্কার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর