বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

হলুদ তরমুজ চাষে ভাগ্য খুলছে কৃষকদের

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

হলুদ তরমুজ চাষে ভাগ্য খুলছে কৃষকদের

জয়পুরহাটে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাচা পদ্ধতিতে বিদেশি বিভিন্ন জাতের বারোমাসি তরমুজের চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অন্য ফসল বাদ দিয়ে এ তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। বিঘাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২ লাখ টাকা পর্যন্ত। এতে ব্যাপক লাভবানের পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হচ্ছে শত শত বেকার যুবকের। কৃষকরা বলছেন, এ তরমুজ চাষে সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হবেন, অন্যদিকে সারা বছর এ সুস্বাদু এ ফল খেতে পারবে সাধারণ মানুষ। ২০১৮ সালে সর্বপ্রথম জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ভাড়াহুত গ্রামের কৃষক আবু মুসা মাত্র আড়াই শতক জমিতে মাচায় ব্ল্যাকবেবি ও মধুমালা তরমুজ চাষ শুরু করেন। ৫ হাজার টাকা খরচ করে এই তরমুজের চাষ করে ৭০ দিনে লাভ হয় ২২ হাজার টাকা। পরে তার সাফল্য দেখে ছড়িয়ে পড়ে এ চাষ। বর্তমানে জয়পুরহাট সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর ও কালাই উপজেলার ৬৫টি গ্রামের তিন শতাধিক কৃষক তৃপ্তি, ডায়না, সুগার কুইনসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করছেন। এসব জাতের বেশির ভাগ তরমুজ চায়না, থাইল্যান্ড ও তাইওয়ানের। বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় ধানসহ অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে এ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও বাড়ছে দিনদিন। বর্তমানে এ তরমুজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে রাজধানী ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, রাজশাহী বগুড়া, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। জেলার প্রথম তরমুজ চাষি পাঁচবিবি উপজেলার ভাড়াহুত গ্রামের আবু মুসা বলেন, একটি বেসরকারি এনজিওর পরামর্শে তিনি ২০১৮ সালে জেলার সর্বপ্রথম আড়াই শতক জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করছেন তিনি। অসময়ে এ তরমুজ চাষ দেখে প্রথমে অনেকেই হাসাহাসি করেছেন।

সর্বশেষ খবর