শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
পারের অপেক্ষায় ৬ শতাধিক ট্রাক

বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ট্রাকজট

♦ পদ্মার তীব্র স্রোতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা ♦ ১০টি ফেরি চলছে অর্ধেক যানবাহন নিয়ে

মাদারীপুর প্রতিনিধি

বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ট্রাকজট

ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাক না তোলায় বাংলাবাজার ঘাটে সৃষ্টি হচ্ছে ট্রাকজট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে ৬ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ কোনো ভারী যানবাহন ফেরিতে নেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি সীমিত করা হয়েছে ফেরি চলাচল।

এর আগে বিআইডব্লিউটিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার থেকে ১০টি ফেরি ধারণক্ষমতার অর্ধেক যানবাহন নিয়ে চলছিল। এক দিনের মাথায় আবারও সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঘাটে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকচালকরা।

ডবআইডব্লিউটিসি ঘাট সূত্র জানায়, পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। পারাপারে প্রতিটি ফেরির লাগছে দ্বিগুণের বেশি সময়। ফেরিগুলো নৌপথের চ্যানেল অতিক্রম করতে গিয়ে তীব্র স্রোতের মুখে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি স্রোতের কারণে তিনটি রো রো ফেরি পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। নৌপথের সব ধরনের দুর্ঘটনা ও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুধবার থেকে সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল। একই সঙ্গে ফেরিতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ভারী যানবাহন তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক দিন যেতে আবারও সিদ্ধান্ত বদলায় বিআইডব্লিউটিসি। গতকাল সকাল থেকে এই নৌপথে চলাচলকারী সব কটি রো রো ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। নৌপথে ১৮টি ফেরি সচল থাকলেও বর্তমানে থেমে থেমে চলছে কুঞ্জলতা, কদম, কাকলি, ক্যামেলিয়া ও কুমিল্লা নামের পাঁচটি ছোট ফেরি।

 

ডবআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঘাটে ফেরি কম চলায় করুণ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি আমরা। কোনোভাবেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছি না। যানবাহনের প্রচুর চাপ। শত শত গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায়। ঘাটে যে কটা ফেরি চলে, তা অ্যাম্বুলেন্স দিয়েই ভরে যাচ্ছে। নতুন করে কোনো ছোট গাড়ি তুলতে পারছি না।’

বাংলাবাজার ঘাটের দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জামালউদ্দিন বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বলেন, ‘ঘাট কর্তৃপক্ষ নতুন সিদ্ধান্ত জানানোর পর থেকে কোনো ফেরিতে বাস-ট্রাক লোড দেইনি। ট্রাকচালকরা উত্তেজিত হলেও কিছু করার নেই। আটকে পড়া ভারী গাড়িচালকদের বিকল্প নৌপথে (দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া) যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা যাচ্ছেন না। এখানেই পড়ে থেকে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর