শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

তিস্তার চরে বন্যার শঙ্কা

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

তিস্তার চরে বন্যার শঙ্কা

আবারও বেড়েছে তিস্তার পানি। গতকাল ভোর থেকে বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি কিছুটা কমেছে। বিকাল ৩টার পর থেকে পানি ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোর থেকে তিস্তার পানি হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তারচর অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে চরের নিম্ন এলাকায় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। গতকাল সকালে দেশের বৃহত্তম সেচপ্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারাজ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় পয়েন্টে  ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার যাহা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার হয়েছিল কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তার পানি ক্রমেই কমতে থাকে এবং বিকালে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। ভাঙনের ফলে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। হাতীবান্ধা সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য মফিজার রহমান জানান, তিস্তার পানি শুক্রবার ভোর থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর