মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

হতাশায় আমন চাষিরা

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

হতাশায় আমন চাষিরা

জুলাইয়ের শেষ ১০ দিনে অতি বৃষ্টিতে বরগুনার পাথরঘাটার ২৫ শতাংশ আমন বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৬২ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ৩৩ হাজার চাষি চিন্তিত হয়ে পড়েছে। গত ২০ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত অতি বৃষ্টি হয়। এতে পানিতে নিমজ্জিত হয় ১৯৮ হেক্টর জমির আমনের বীজতলা। সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ, যেখানে সবুজে সমারোহ থাকার কথা বীজতলা, সেখানে এখন বীজ পচা গন্ধ। উপজেলার সদর ইউনিয়ন, কালমেঘা, কাঁঠালতলী, নাচনাপাড়া, চরদুয়ানীসহ বিভিন্ন এলাকার বীজতলা বৃষ্টিতে তলিয়ে পচে গেছে। অনেক কৃষক আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি শুরু করছেন। কালমেঘার চাষি শাহজাহান জানান, বৃষ্টিতে কালমেঘার মাঠ-ঘাট ৮ দিন জলাবদ্ধ ছিল। জলাবদ্ধ থাকায় এ ৮ দিন ধানের চারা পচে গেছে। বীজ না থাকায় নতুন করে বীজতলা করতে পারছেন না। ছোট পাথরঘাটা গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, গত বছর এ দিনেই আমার ২ একর জমি বীজ রোপণ করা শেষ হয়েছে। বীজ সংকট থাকায় এখন পর্যন্ত চাষ করেও বীজ রোপণ করতে পারিনি। কাঁঠালতলী ইউনিয়নে কালিপুর গ্রামের চাষি মো. হাসান জানান, বৃষ্টিতে তার ধানের গাছের বীজ পচে গেছে। নতুন পুঁজি না থাকায় বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। ডিলারের কাছে গিয়েও বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, উপজেলায় ১ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এতে ১৭ হাজার  হেক্টর জমি আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু অতি বৃষ্টিতে শতকরা ২৫ ভাগ বীজতলা ডুবে পচে গেছে। অনেক কৃষক নতুন করে বীজতলা শুরু করছেন। বীজের ঘাটতি মেটাতে উত্তরাঞ্চল থেকে ডিলারদের মাধ্যমে কিছু বীজ আনার চেষ্টা চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর