বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

রাঙামাটিতে ৮ বছর পর দৃশ্যমান সেতু

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

রাঙামাটিতে ৮ বছর পর দৃশ্যমান সেতু

দীর্ঘ ৮ বছর পর কাজ সম্পন্ন হয়েছে রাঙামাটির পুরান পাড়ার সেতুর। ২০১৩ সালে রাঙামাটি এসে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নানা জটিলতার কারণে ৮ বছর ঝুলে ছিল সেতুর নির্মাণ কাজ। স্থানীয়দের দাবির পর সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হলেও তাও চলেছে থেমে থেমে। ফলে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করতে সময় পেরিয়ে যায় ৮ বছর। অবশেষে কাক্সিক্ষত সেতুটি দৃশ্যমান হওয়ায় আনন্দে উৎফুল্ল স্থানীয়রা। গতকাল দুপুরে রাঙামাটি পুরান পাড়া সেতুটি পরিদর্শন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা উপস্থিত ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, এ সেতুটি পাহাড়ের একটি দ্বীপবাসীর স্বপ্ন ছিল না। এটা সরকারের স্বপ্ন ছিল। সরকার সব সময় চায় পাহাড়ের মানুষের জীবন মান উন্নয়ন। তাই তো রাঙামাটি সফরে এসে সরকারপ্রধান এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে সেতুটি নির্মাণ করতে। বিভিন্ন জটিলতা ছিল। কিন্তু তবুও সেতু নির্মাণ কাজ থমকে যায়নি। দীর্ঘ বছর পর হলেও সেতুটি আজ মানুষের কাছে দৃশ্যমান। এ সেতুর সুবিধা ভোগ করবে রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারের বড় একটি অংশ। সেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। রংসহ কিছু কাজ বাকি আছে। পুরোপুরি শেষ হলে খুব দ্রুত উদ্বোধনও করা হবে।  পুরান পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহম্মদ তালুকদার বলেন, মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল পুরান পাড়ার সেতুটি। কাপ্তাই হ্রদের কারণে শহর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল রিজার্ভ বাজার পুরান পাড়া, ঝুলিক্কা পাড়া, জালিয়া পাড়াসহ বেশ কয়েকটি দ্বীপ। সড়ক যোগাযোগ না থাকার কারণে এ দ্বীপের বাসিন্দাদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখাও নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। শহর থেকেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এসব এলাকায়। তবে এ সেতু চালু হলে সে সমস্যা খুব দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সংশ্লিষ্টরা বলেন, দীর্ঘ বছর পর সেতু রাঙামাটি শহরের সঙ্গে পুরান পাড়া, জালিয়া পাড়া, ঝুলিক্কা পাড়ার সড়ক যোগাযোগ দেখতে পাচ্ছি। এটি যেন উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঝুলে না থাকে। মানুষ এ সেতুর সুবিধা নিতে অপেক্ষমাণ।

সর্বশেষ খবর