বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি বন্ধ

দৌলতদিয়ায় আটকা কয়েকশ ট্রাক

প্রতিদিন ডেস্ক

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি বন্ধ

নেই কোনো যাত্রী ও যানবাহন। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাট থেকে গতকাল তোলা ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নদীতে স্রোতের তীব্রতার কারণে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল গতকাল দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। একই করণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উভয় ঘাটে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। এ ছাড়া যানবাহনের চাপ বেড়েছে চাঁদপুরের হরিনা ফেরিঘাটে। প্রতিনিধিদের খবর-

মাদারীপুর : বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে সব ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর আগে সকাল থেকে এ নৌরুটে পাঁচটি কে টাইপ ফেরি চলাচল করছিল। আকস্মিক ফেরি বন্ধ রাখায় বাংলাবাজার ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহন চালকরা বিপাকে পড়েন। বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীতে স্রোতের তীব্রতা বাড়ায় ফেরি চলাচল বাধার মুখে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, ফেরি বন্ধে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে কয়েকশ যাত্রী ও যানবাহন। বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল জানান, নদীতে তীব্র স্রোত ও প্রবল বাতাস রয়েছে। এ জন্য দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিগুলো দুই ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ফেরি বন্ধ থাকবে। রাজবাড়ী : দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হওয়ায় ঘাটের উভয়পাড়ে আটকে আছে শত শত যানবাহন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরি পাচ্ছেন না চালকরা। গতকাল দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া প্রান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুই কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ম্যানেজার জামাল হোসেন বলেন, নৌরুটের পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যে কারণে যানবাহন পারাপারের সমস্যা হচ্ছে। চাঁদপুর : চাঁদপুর হরিণা-শরীয়তপুর ফেরিঘাটে বেড়েছে গাড়ির চাপ। গতকাল হরিণাঘাটে আটকা পড়ে প্রায় ৩০০ পণ্যবাহী পরিবহন। যদিও ঘাট কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত, যাত্রীবাহী ও ছোট যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারে সুযোগ দিচ্ছে। চালকদের দাবি পর্যাপ্ত ফেরি না থাকায় ৩-৪ দিন ঘাটেই পড়ে থাকতে হয়। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হরিণাঘাটে আরও ফেরি প্রয়োজন। লকডাউন শিথিলের পর প্রতিদিনই অতিরিক্ত গাড়ি এ ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়ে যাওয়ায় পণ্যবাহী যান পারাপারে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি ঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) আবদুন নুর তুষার বলেন, ফেরিঘাটের আলু বাজার ও চাঁদপুর অংশে বহু গাড়ি আটকা আছে। ইতিমধ্যে একটি ফেরি বাড়ানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর