শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

রাস্তায় বসবাস শতাধিক পরিবারের

৪০ বছরেও মেলেনি নিরাপদ আশ্রয়

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

রাস্তায় বসবাস শতাধিক পরিবারের

রাস্তার দুই পাশে ঝুপড়ি ঘরে কষ্টে দিন কাটছে অসহায় এসব মানুষের

৪০ বছর ধরে রাস্তার ওপর বসবাস। নেই বিশুদ্ধ পানি, টয়লেট ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা। তাদের সব কাজই চলে একই স্থানে খোলা আকাশের নিচে প্রবহমান খালে। এই খালের পানি ব্যবহার করে হয় রান্না-বান্নাও। এ মন সব সমস্যা নিয়ে শতাধিক ভূমিহীন পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের চরাঞ্চলে। জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর বেবিস্ট্যান্ড থেকে খেয়াঘাট রাস্তার দুই পাশে বসবাস করছে অসহায় পরিবারগুলো। বারবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দেওয়াসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বললেও তাদের ভাগ্যে কিছুই জুটেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, জন্মনিবন্ধনসহ যে কোনো কাজের জন্য নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাদের। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চরাঞ্চলের আধারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের প্রধান সড়কের ওপর বসবাস করছেন নদী ভাঙনে ভিটেবাড়ি হারানো শতাধিক পরিবার। বর্তমানে তারা ওই এলাকার ভোটার। তবে নাগরিক সুবিধার ছিটেফোঁটাও কপালে জুটেনি এই পরিবারগুলোর। প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পেও নাম উঠেনি তাদের। অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়নটিতে দুই শতাধিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ হলেও তার একটি যায়নি ভূমিহীন এ সব পরিবারে। ৪০ বছরে তাদের ভাগ্যে জোটেনি একটু নিরাপদ আশ্রয়। রাস্তার ওপর বসবাসকারী সাজেদা ও হাসিনা বলেন, নদী ভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে চার দশক ধরে তারা এখানে আছেন। বর্তমানে এখানকার ভোটার তারা। সেটা শুধু কাগজে আর ভোট দেওয়ার জন্য। এর বাইরে কোনো সুযোগ সুবিধা পান না। শুধু ভোটের সময় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দেখা যায়। রাস্তায় বসবাসরত মনা প্রমাণিক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আলমগীর বলেন, সরকারের পর সরকার পরিবর্তন হয়, আমাদের ভাগ্য বদলায় না। চেয়ারম্যান কয়েকবার ঘর দেওয়ার কথা বলে নাম নিয়েছেন। ঘর-তো দূরের কথা গত পাঁচ বছওে কোনো দিন আমাদের খোঁজ নিতে আসেননি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন, রাস্তার ওপর বসবাসকারীরা কেউ ভূমিহীন নন। যদি কেউ ভূমিহীন থাকে তবে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সব পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে  ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সদর উপজেলার ইউএনও হামিদুর রহমান।

সর্বশেষ খবর