রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে মাঠপর্যায়ে কর্মরত ১৬ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত দুই পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিনের কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের চিঠি থেকে জানা যায়, কৃষকদের প্রদর্শনী খামার কর্মসূচিতে সার-বীজ ক্রয় না করে অর্থ আত্মসাৎ। বিভিন্ন বীজ বিতরণ না করা, বীজের মাস্টার রুল প্রদানে মাঠ কর্মীদের চাপ প্রয়োগ। নোয়াখালী-চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত পরিচর্যার অর্থ আত্মসাৎ। একই প্রকল্পভুক্ত সর্জন প্রদর্শনী ইউপিতে চারটি, পৌরসভায় দুটি বরাদ্দ দিলেও একটি স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া একটি ইউপি ও একটি পৌরসভায় প্রদর্শনী বরাদ্দে উপকরণ ও অর্থ প্রদান করা হয়নি। এনএটিপি প্রকল্পের ম্যাচিং গ্র্যান্ড ফান্ডের অনুকূলে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে ‘কালচো আলু সিআইজি সমবায় সমিতি’ ও ‘ভাটরা ধান সিআইজি সমবায় সমিতি’ থেকে অফিস খরচ বাবাদ দেড় লাখ টাকা নিয়েছেন।  বাবদ ৭৫ হাজার টাকা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার আংশিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করেন।

‘কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পে’ সার ও বীজ ছাড়া, অন্যন্য খাতের অর্থ কৃষককে প্রদান না করা। এমনকি ২০ মে তারিখ প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের গাড়ির ড্রাইভারকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা। উপপরিচালক মহোদয় হাজীগঞ্জ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের অভিযোগটি হাতে পাওয়ার পর, চাঁদপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আনিছুর রহমানকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। তদন্ত কর্মকর্তা চার কর্মদিবসের মধ্যে উপপরিচালকের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। তদন্ত রিপোর্টটি হাতে পেয়েই, তিনি পরদিন অতিরিক্ত পরিচালক আমিনুল ইসলাম কুমিল্লাকে প্রেরণ করেন। জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাজেদুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়। আমি সম্পূর্ণ যড়যন্ত্রের শিকার। আমি কাজে বিশ্বাসী। আমার কর্মদক্ষতা অনেকে পছন্দ করেন না। যদি পছন্দ না হয় আমাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হোক। আমি মাঠকর্মীদের নিয়েই কাজ করতে চাই। এমনকি আমি তাদের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একত্রে বসেছি। উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে শতভাগ সত্যতা পাওয়া গেছে। যার রিপোর্ট গত ১২ জুলাই তারিখ অতিরিক্ত পরিচালক আমিনুল ইসলাম কুমিল্লা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে দুবার শোকজ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যাসহ প্রেরণ করলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এখতিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

সর্বশেষ খবর