বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবসে মানববন্ধন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার প্রতিবাদে দিনাজপুরসহ সারা দেশের মানুষ যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, যার ফলে দোষীদের বিচার এবং বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট পুলিশি হেফাজতে ইয়াসমিনকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দিনাজপুরের সাধারণ জনতা আন্দোলনে ফেটে পড়ে। ইয়াসমিন হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যারা সেদিন নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন। গতকাল দিনাজপুর দশমাইল মোড়ে ‘ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর শাখা আয়োজিত মানবন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঘটনার পর থেকে নানা আয়োজনে ২৪ আগস্ট ‘জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে এবারও দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন ভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ ও শোক র‌্যালিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আজ থেকে ২৬ বছর আগে ১৯৯৫ সালের এ দিনে দিনাজপুরে একদল বিপথগামী পুলিশের হাতে তরুণী ইয়াসমিন নিমর্মভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। এ বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের মানুষ। প্রতিবাদী মানুষকে লক্ষ্য করে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সাতজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শহরে নামানো হয় বিডিআর। এ ঘটনায় দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষের দৃষ্টি নিবন্ধ হয় দিনাজপুরের দিকে।  ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি তিনটি আদালতে ১২৩ দিন বিচার কাজ শেষে ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আবদুল মতিন মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে আসামি পুলিশের এএসআই মঈনুল, কনস্টেবল আবদুস সাত্তার ও পুলিশের পিকআপ ভ্যানচালক অমৃত লাল বর্মণের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ বিধান ’৯৫-এর ৬ (৪) ধারায় ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুর আদেশ দেন। আলামত নষ্ট, সত্য গোপন ও অসহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এএমআই মঈনুলকে আরও ৫ বছরের সশ্রম কারাদে  দি ত করা হয়। চাঞ্চল্যকর ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দ প্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় আট বছর পর অর্র্থাৎ ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে।

সর্বশেষ খবর