শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

গাছ বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের তার

দেড় দশকেও সংস্কার হয়নি ঝুঁকিপূর্ণ লাইন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

গাছ বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের তার

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় গাছ ও বাঁশকে খুঁটি বানিয়ে গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। যে কোনো সময় আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। প্রায় দেড় দশক পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এ ছাড়া ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, লো-ভোল্টেজের কারণে গ্রাহকদের দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ১৬ আগস্ট ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংস্কার, লো ভোল্টেজ ও ভুতুড়ে বিল সমাধানের নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে পিডিবি কুলাউড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করেন এলাকাবাসী। আবেদন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশেমনগর, পুটাডহর, দোহালিয়া, গজভাগ গ্রামে পিডিবির আওতায় পাঁচ শতাধিক গ্রাহক রয়েছেন। ১৫-১৬ বছর আগে ওই এলাকায় এক ফেইজ (কভার তার ছাড়া) দিয়ে বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়। শুরুতে কিছু পাকা খুঁটি দিয়ে সঞ্চালন লাইন টানা হয়। তবে বেশিরভাগ স্থানে ব্যবহার করা হয়েছিল গাছ ও বাঁশের খুঁটি। এক সময় পাকা খুঁটিগুলো ভেঙে গেলে পিডিবির লোকজন জীবন্ত গাছ, গাছ ও বাঁশকে খুঁটি বানিয়ে সঞ্চালন লাইন টেনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। এসব তার কোথাও ভূমি থেকে মাত্র ৭ ফুট কোথাও ৮ ফুট ওপর দিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই অসাবধানতাবশত ওই গাছ ও বাঁশের খুঁটিতে স্পর্শ করে শক খেয়েছেন। কাশেমনগর গ্রামের বাসিন্দা গ্রাহক বদরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ লাইন সংস্কার করা হচ্ছে না। ঝুঁকিপূর্ণ লাইনে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিদ্যুৎ পাওয়ার পর থেকেই আমরা নানা হয়রানির শিকার। পিডিবির কুলাউড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী উসমান গনি বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গাছ ও বাঁশ দিয়ে জোর করে তো কারও বাড়িতে লাইন দেওয়া হয়নি। তখন স্থানীয় নেতা কিংবা কারও জোরাজুরি, তদবির করায় এভাবেই লাইনগুলো হয়েছে। যদিও গাছ ও বাঁশের খুঁটি এবং এক লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার বিধান নেই। এখন একটা প্রজেক্ট আসছে। সব সমস্যার সমাধান হবে।

সর্বশেষ খবর