শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

বীরগঞ্জের উপ-কারাগার এখন ভুতুড়ে বাড়ি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বীরগঞ্জের উপ-কারাগার এখন ভুতুড়ে বাড়ি

সংস্কারের অভাবে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের উপ-কারাগারটি ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। এখানে শিশু অপরাধ সংশোধনী ও পুনর্বাসন কেন্দ্র বাস্তবায়নের কাজ ঝুলে আছে ১৩ বছর ধরে। ১৯৮৪ সালে দিনাজপুরের উত্তরের চার উপজেলা কাহারোল, খানসামা, বোচাগঞ্জ ও বীরগঞ্জ নয়ে বীরগঞ্জ সার্কেলের আওতায় ১০০ কয়েদি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সাব জেল নির্মাণ করা হয়। উপ-কারাগারটি ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলেও উপজেলা আদালতগুলোকে পুনরায় জেলা শহরে স্থানান্তর করে। তখন থেকে উপ-কারাগারটি প্রায় ৩২ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে পরিত্যক্ত থেকে ভুতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। বীরগঞ্জ সমাজসেবা কার্যালয়ে কারিগরি প্রশিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, ২০০৪ সালে উপ-কারাগারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকে আমি দেখাশুনা করছি। অবকাঠামো ছাড়া কারাগারের সরকারি জিনিসপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছেন। উপ-কারাগারের জমিতে মানুষের চলাচলে জন্য রাস্তা, মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা রয়েছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় ভবনের ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ে দেয়াল নষ্ট হচ্ছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। কোনো কোনো স্থানে ছাদের ঢালাই খুলে পড়ছে। আমরা এখানে বসবাস করলেও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। মাঝে মধ্যে রাতের বেলা মাদকসেবীরা উৎপাতের চেষ্টা করে। বীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সারোয়ার মুর্শিদ আহমেদ বলেন, বীরগঞ্জের উপ-কারাগারটি সরকারিভাবে বন্ধ হওয়ার প্রায় ১৩ বছর পর ২০০৪ সালের ২২ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হস্তান্তর করে সমাজসেবা অধিদফতরের কাছে। উপ-কারাগারটিকে তখন থেকে শিশু অপরাধী সংশোধনী ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তরের চেষ্টা করছে সরকার। ২০১৯ সালে ঢাকা থেকে পরিদর্শন টিম উপ-কারাগার এলাকা পরিদর্শন করেছে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো চিঠি পাইনি। তিনি আরও জানান, ওই অবকাঠামোসহ জায়গাটি আমাদের দেখাশুনা করা ছাড়া কিছুই করার নাই।

এটাকে নিয়ে অন্য কোনো পরিকল্পনা করা যায় কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি। এটি ফেলে না রেখে ব্যবহার অনুপযোগী পুরাতন ভবন ভেঙে পথকলী শান্তি নিবাস, বৃদ্ধাশ্রম অথবা সমাজসেবার অধিদফতরের ট্রেনিং সেন্টার করা যায় কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় পৌর নাগরিকরা।

সর্বশেষ খবর