ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘অবিনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার সন্ধায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় রাজনৈতিক জীবনের ওপর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনলাইনে আয়োজিত তিনটি রচনা ও দুটি কুইজ এবং শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার প্রধান অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরে বাংলাদেশ ছিল একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দরিদ্র দেশ। এত বিপর্যয় ও দুরবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু কাক্সিক্ষত উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছিলেন। যুদ্ধের বছর দেশে কোনো ফসল হয়নি। ফলে একদিকে যেমন খাদ্য সংকট, অন্যদিকে ভঙ্গুর যোগাযোগ অবকাঠামো। রাস্তাঘাট, পুল, কালভার্ট, ব্রিজ, রেল, সবই ভাঙা।
কোনো কারেন্সি নোট নেই, পোর্ট বন্ধ। জাসদ সৃষ্টি হলো। সিরাজ শিকদারের সর্বহারা পার্টির দৌরাত্ম্য। তার ওপর ৭৪-এর দুর্ভিক্ষ। বঙ্গবন্ধু জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ অর্থনৈতিকভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় ও জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম এবং হাবিপ্রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার।