মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

থমকে আছে চিলাহাটি রেল স্টেশনের কাজ

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি

থমকে আছে চিলাহাটি রেল স্টেশনের কাজ

সর্ব উত্তরের চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথে মালবাহী রেলগাড়ি চলাচল করলেও আট মাস থেকে পাইল ক্যাপের  ওপর ৯২টি পিলারের রড নিয়ে থমকে আছে চিলাহাটি রেল স্টেশনের কাজ। স্টেশনের মূল দ্বিতল আধুনিক ভবন নির্মাণের জন্য ১৭৫টি পাইলিং কাজের পর থেকে রেল স্টেশনের সব কাজ বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ আট মাস থেকে কাজ বন্ধ থাকায় মূল ভবনের পিলারের রডগুলো মরিচা ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের সিংহভাগ শ্রমিক অন্যত্র পাঠিয়ে দিয়েছে। কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেননি। প্রকল্পটির ৮০ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে প্রায় ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দের পর অনুমোদন না হওয়ায় কাজ বন্ধ রেখেছে। ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানিকৃত পাথরের ওয়াগনগুলো ১৪ দিন ধরে হলদিবাড়ী রেল স্টেশনে পড়ে আছে। লুপ লাইন স্থাপন না হওয়ায় জায়গার অভাবে হলদিবাড়ী থেকে মালবাহী ওয়াগানগুলো চিলাহাটি স্টেশনে আসতে পারছে না। চিলাহাটি রেল স্টেশনের কাজগুলো শেষ হলেই এই রেলপথ দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে।

কাজ শেষ না হওয়ায় দুই দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী রেলওয়ে সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ব্যবসা বাণিজ্যে ক্রমাস্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের মোংলা পোর্ট হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগাযোগ অবকাঠামো মনোন্নয়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য ২০১৯ সালের ২৭ জুন থেকে চিলাহাটি রেলওয়ের কাজ শুরু করা হয়। চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল সংযোগের পর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর মালবাহী ও ২০২১ সালের ২৭ মার্চ যাত্রীবাহী রেলগাড়ি চলাচলের উদ্বোধন করেন দুই দেশের সরকার প্রধানগণ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাসট্রাকচারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রোকনুজ্জামান সিয়াব বলেন, প্রায় ২০ কোটি টাকার অতিরিক্ত কাজ করা হয়েছে। বাড়তি প্রকল্পের কাজগুলো ডিপিপি থেকে আরডিপি না হওয়ায় নতুন করে অর্থ সংস্থান হচ্ছে না। তাই কাজগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় জমির মালিকদের বাধার মুখে দাঁড়িয়ে আছে লুপ লাইন বসানোর কাজ। জমির মালিক রুমান মালেক বসুনিয়া বলেন, শুরু থেকে রেলওয়ের কাজের জন্য আমরা জমি দিতে প্রস্তুত আছি। ইতিমধ্যে মালিকানা পুকুরগুলো ভরাট করাও হয়েছে। জমির ওপর থেকে অনেক স্থাপনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কোনো নোটিস পাইনি। এখন ক্ষতিপূরণ পেলেই আমাদের আর কোনো বাধা থাকবে না। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের প্রকৌশল-২ প্রকল্প পরিচালক আবদুর রহীম বলেন, কয়েকটি কাজ ঊর্ধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বাকি আছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর