সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ধানের চারায় দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

আবদুল বারী, নীলফামারী

ধানের চারায় দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

ফসলের মাঠে রোপা-আমন চারায় সবুজের সমারোহ। কোথাও কোথাও চারা থেকে শিষ বের হয়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে। আবার কোথাও খুব তাড়াতাড়ি চারা থেকে শিষ বের হবে। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। ধানের  চারার সবুজ পাতা বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠেছে আমন খেত। খরার পর বৃষ্টি হওয়ায় খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কৃষকরা।  কয়েকদিন হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হওয়ায় উঁচু কৃষি জমিতে পানি জমায় কৃষকের মনে স্বস্তি এসেছে। সরেজমিনে গিয়ে জেলার ৬টি উপজেলায় দেখা যায়, অনেকদিন পানির অভাব থাকলেও বর্ষার পানিতে তারা নতুন করে আমনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। এই বৃষ্টির কারণে চারা মাটি থেকে ভালো রস পাবে। এতে ভালো ফসল উৎপাদন হবে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা গ্রামের কৃষক আবুজার রহমান বলেন, পানির অভাবে ফসলি জমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমায় চাষাবাদে আশা ফিরে পেয়েছেন। আমন মাঠে পানি হওয়ায় কৃষকরা সার ও কীটনাশক ছিটিয়ে জমির পরিচর্যা করছেন।  ডোমার উপজেলার কৃষক হামিদার রহমান বলেন, এবার তিনি ৬ একর জতিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় চারাগুলো খরায় লালচে হয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছিল। এতে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় খুশি তিনি। বৃষ্টি হওয়ায় আমন গাছে আগাছা নিড়ানি দিচ্ছেন। এই বৃষ্টি আমাদের জন্য আশীর্বাদ।  নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এবারে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চাল আকারে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৭০৯ মেট্রিক টন।

সর্বশেষ খবর