সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পাটের দামে হতাশ কৃষক

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

পাটের দামে হতাশ কৃষক

ঝিনাইদহে কমেছে পাটের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জেলার হাট-বাজারগুলোতে পাটের দাম মণপ্রতি কমেছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এতে হতাশ কৃষকরা। পাটের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। জানা গেছে ছয় উপজেলার মধ্যে অন্যতম কৃষি পণ্য ও পাটের হাট শৈলকুপা উপজেলাতে। সকাল থেকে এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামসহ আশপাশের এলাকা থেকে পাট নিয়ে হাটে আসেন কৃষকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগরমে জমে উঠে বেচা-কেনা। চলে দরদাম। গত মঙ্গলবার শৈলকুপা হাটে প্রতিমণ পাট প্রকার ভেদে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের থেকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা কম। হঠাৎ পাটের দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছে কৃষকরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভারি হবে লোকসানের পাল্লা। তাই পাটের দাম বাড়ানোর দাবি তাদের। কৃষকরা জানান, যদি দাম না বাড়ে তাহলে পরবর্তী বছরে পাটের চাষ ছেড়ে অন্য ফসলের চাষ করবেন তারা। ঝিনাইদহ শৈলকুপা বণিক সমিতির সভাপতি ও ব্যবসায়ী মো. লিয়াকত জোয়ার্দ্দার জানান আমদানি বেশি আর করোনার কারণে অনেক মিল করখানা বন্ধ রয়েছে। সে জন্য কর্তৃপক্ষ পাট না কেনায় দাম কমেছে। আগামীতে দাম আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও জানান প্রতি মঙ্গল ও শনিবার এ হাটে ১০ থেকে ১১ হাজার মণ পাট কেনাবেচা হয়। যা পাঠানো হয় ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন পাটকলে। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান এ বছর  জেলায় ২২ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে  বেশি অর্জিত হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিদের পাটে ফলন ভালো হয়েছে। সব কলকারখানা যদি খুলে যায় এবং পাটের ব্যবহার শুরু হলেই বাজারে পাটের দাম উঠতে পারে। তবে কৃষক ভাইদের জন্য পরামর্শ যদি তারা এটি ধরে রেখে পরবর্তীতে বিক্রি করে তাহলে ভালো দাম পেতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর