বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বেহাল মহাসড়কে দুর্ভোগ

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

বেহাল মহাসড়কে দুর্ভোগ

সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও যশোর মহাসড়ক। সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানা খন্দের। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। দ্রুত এ সড়ক সংস্কার করার দাবি চালাচলকারী সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসীর। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা ঝিনাইদহ। মোংলা নৌবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের  অধিকাংশ মালামাল এ জেলার সড়ক দিয়েই উত্তরবঙ্গে আনা-নেওয়া করা হয়। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও যশোর সড়ক দিয়ে দূর-পাল্লারসহ সব ধরনের যানবহন চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন এ রুটে চলাচলকারী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। মহাসড়কের এ রুটের  বিভিন্ন জায়গায় গেলে দেখা মেলে বড় বড় গর্ত আর জমে থাকা পানির। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও যশোর সড়কের আরাপপুর, মুজিব চত্বর মোড়, ভাটই, গাড়াগঞ্জ, চড়িয়ারবিল, শেখপাড়া, বিষয়খালী, কালীগঞ্জ, বারোবাজারসহ বিভিন্ন স্থানের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ফলে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিনই যানজটসহ ঘটছে  ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এসব স্থানে পড়ে নষ্ট হচ্ছে যানবাহন, ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সব ধরনের মানুষকে। সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে খানা-খন্দে কিছু ইট বালি দিয়ে মেরামত করলেও কয়েকদিন পরে আবার সেটি আগের অবস্থায় ফিরে আসছে। সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করে এটিই জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, রাস্তায় খানা-খন্দ হলে লাভ হয় কিছু ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগের। মাঝে মাঝে থোক বরাদ্দ নিয়ে অংশবিশেষ কাজ করে মোটা অংকের বিল তুলে নেওয়া হয়। এমনও আছে থোক বরাদ্দের জন্য একটা টেন্ডার করে পাঠিয়েছে আবার সড়কটি পুনরায় সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। থোক বরাদ্দ কাজের টেন্ডার যদি আগে পাস হয়ে যায়। পরে পুনঃসংস্কার কাজের টেন্ডার পাস হয় তাহলে ঠিকাদার ও সড়ক বিভাগ থোক বরাদ্দের কাজ না করেই বিল তুলে নিতে সহজ হবে। এ কারণেই কাজের টেন্ডার হলেও কাজ শুরু করতে একটু দেরি হয় বলে জানান তিনি।

 ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ জানান ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে ২২ কিলোমিটার ও ঝিনাইদহ যশোর মহা-সড়কের ৩০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ  স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দের। এটি মাঝে মধ্যে ইট বালি দিয়ে মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে সলিং করে হয়েছে। এ সড়ক সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সংস্কারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহবান করে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর