শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শরণখোলায় ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি-কাশি

আক্রান্তের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

শরণখোলায় ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি-কাশি

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় ভাইরাসজনিত রোগে ব্যাপক আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। উপজেলার হাসপাতালে জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন জ্বর, সর্দি-কাশি, গা ব্যথা নিয়ে গড়ে এক- দেড় শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি শিশু। বর্তমানে হাসপাতালে নিউমোনিয়াসহ জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে ২০ শিশু ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া বয়স্করাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলার সর্বত্রই ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, গা ব্যথার রোগী রয়েছে। হাসপাতালের বাইরে উপজেলার পল্লী চিকিৎসকদের কাছে এরা চিকিৎসা নিচ্ছে। যাদের অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে তারাই হাসপাতালে আসছে। আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। হাসপাতারে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত স্বাস্থ্য সহকারী বিপ্লব সাধক রেজিস্ট্রার ঘেঁটে জানান, গত এক সপ্তাহে জরুরি বিভাগে দুই শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে ৬৭ জনই এক বছর থেকে ১২ বছরের শিশু। এরা শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশির চিকিৎসা নেয়। এদের মধ্যে নিউমোনিয়া আক্রান্ত সাইমুন (১৮ মাস) ও আয়শাকে (৭ মাস) গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। গত এক সপ্তাহে জরুরি ও বহির্বিভাগ মিলিয়ে হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ, শিশু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক শিশু রয়েছে। শরণখোলা হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসক ডা. প্রিয়গোপাল বিশ্বাস জানান, তিনি সকাল থেকে বিভিন্ন বয়সের ৬৫ জন রোগী দেখেছেন। এর মধ্যে ২৫ ভাগই জ্বর, সর্দি-কাশির রোগী। যাদের সংক্রমণের মাত্রা বেশি তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম রাকিব জানান, তিনি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৮০ জন রোগী দেখেছেন। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। বেশির ভাগ শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণ রয়েছে। ফ্লু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এর সংক্রমণ বেড়েছে। আর শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এই ভাইরাসে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশি থাকে। প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে রোগীর চাপ সামলাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর