শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

টেকসই বাঁধ নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসন চান উপকূলবাসী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

টেকসই বাঁধ নির্মাণ, জলাবদ্ধতা নিরসন চান উপকূলবাসী

সাতক্ষীরা উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে লবণ পানিতে ডুবে আছে। জলাবদ্ধতা এবং করোনা এই অঞ্চলের মানুষকে দুর্বিষহ অবস্থায় ফেলেছে। কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে চলছে উপকূলবাসীর জীবনযাত্রা।

ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘আমরা ভাটায় জাগি, জোয়ারে ডুবি। বেড়িবাঁধ ভাঙনের আতঙ্কে স্থানীয়দের তটস্থ থাকতে হয় সব সময়। দিনে দুই বার নদীর জোয়ারের পানিতে অনেক এলাকা তলিয়ে যায়। তখন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চিকিৎসা, স্যানিটেশন, সুপেয় পানিসহ নানা সংকটে বিপর্যস্ত উপকূলের লক্ষাধিক মানুষ।’ তারা জানান, গত জুলাই মাসে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মাহমুদুল হাসান মারা যান। তখন চারদিকে পানি থাকায় মাটির ওপর কোনোভাবে পলিথিন বিছিয়ে ইট গেঁথে সমাধি বানিয়ে দাফন করা হয় তার লাশ। কয়েকদিন পর মরদেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এমন দুর্বিষহ চিত্র তুলে ধরে দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ, জলাবন্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি ও উপকূল সুরক্ষা দাবিতে পানির ওপর মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল বিকালে বিভিন্ন ফেস্টুন ও প্লাকার্ড নিয়ে হাঁটু, কোমর পানিতে ভিজে এবং নৌকায় দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরিবেশবাদী আন্দোলন ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশ এবং ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের আহ্বানে এই ধর্মঘটে উপকূলের শত শত লোক অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন সাইদুল ইসলাম, এস এম শাহিন আলম, মমিনুর ইসলাম, রাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে আজ উপকূল ক্ষতবিক্ষত। মানুষের বেঁচে থাকাই চ্যালেঞ্জ। লাখ লাখ মানুষ উপকূল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। আগামী জলবায়ু সম্মেলনের আগেই ন্যায্য ক্ষতিপূরণ, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ বাস্তবায়ন দেখতে চান উপকূলবাসী। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও ইয়াসের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় পুরো সাতক্ষীরা উপকূল। তখন পানিবন্দী হন উপকূলের লক্ষাধিক মানুষ। ধসে পড়ে দুই হাজারের বেশি ঘরবাড়ি।

সর্বশেষ খবর