রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শত শত কারখানা বন্ধ দিশাহারা মালিক-শ্রমিক

তাঁতশিল্পে বন্যার আঘাত

আবদুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

শত শত কারখানা বন্ধ দিশাহারা মালিক-শ্রমিক

বন্যা আঘাত হেনেছে সিরাজগঞ্জের তাঁতশিল্পে। সুতা, বিম, ত্যানা, নলি ও মোটরসহ সব পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে শত শত কারখানা। দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক তাঁত মালিকরা। কাজ না থাকায় শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঘুরে            দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার সহায়তা দাবি করেছেন তাঁতিরা।

জানা যায়, দুই সপ্তাহের বন্যায় সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের নিমাঞ্চল তলিয়ে  গেছে। বন্যার পানি প্রবেশ করেছে এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন তাঁত কারখানায়। নষ্ট হয়েছে সিরাজগঞ্জের প্রায় ৫ হাজার তাঁতের কাপড়সহ প্রধান উপকরণ সুতা-মাকড়-ত্যানা-মোটর ও নলি ও তাঁত। এতে তাঁতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকজন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আয় রোজগার না থাকায় চোখে অন্ধকার দেখছেন মালিকরা। শুধু তাঁত মালিক নয়, এর সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার নারী-পুরুষ বেকার হয়ে পড়ায় কষ্টে দিন কাটছে তাদের। একদিকে করোনা অন্যদিকে বন্যার কারণে দীর্ঘদিন কাজ না থাকায় ক্ষুধা-দারিদ্র্য তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সদর উপজেলার পূর্বমোহনপুর ও বাঐতারা গ্রামের তাঁতি নুরুল ইসলাম, ইয়াসিন ও কাওসারসহ অনেকে জানান, এ অবস্থায় সরকার সহায়তা না করলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব না। তাঁত শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। তারা অভিযোগ করে বলেন, একদিকে আয় রোজগার নেই। তার ওপর বেসরকারি সংস্থাগুলো কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছে। নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। তাঁত শ্রমিকরা জানান, করোনা থেকে বন্যা পর্যন্ত প্রায় ৫-৬ মাস কাজকর্ম নেই বললেই চলে। পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে জীবনযাপন করছি।             সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি। জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ জানান, তাঁত শ্রমিকদের জিআর চাল ও নগদ কিছু অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতিদের তালিকা তৈরি করে সহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সহায়তা পেলে তাঁতিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর