সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাঙছে রাস্তা, চলাচলে ঝুঁকি

মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

ভাঙছে রাস্তা, চলাচলে ঝুঁকি

নদীর মাটি তুলে বাঁধ নির্মাণের কারণে বৈরান নদীর পাশের পাকা রাস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়তই এ রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনার ভয়ে মানুষ রাতে চলাচল বন্ধ রেখেছে। রাস্তাটি ভাঙার কারণে যেতে পারছে না কোনো জরুরি সেবা গ্রহণকারী যানবাহন। রাস্তাটি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের ভাতকুড়া গ্রামের ভাতকুড়া রাস্তা। পাইস্কা বাজার থেকে রাস্তাটি সংযুক্ত হয়ে ওই গ্রাম দিয়ে চলে গেছে পার্শ্ববর্তী মুশুদ্দি ও বীরতারা ইউনিয়নে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এ অবস্থায় যাতায়াতে খুবই অসুবিধা ভোগ করছে কৃষক। এ ভাঙনের ফলে যে কোনো সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদী থেকে মাটি তুলে বাঁধ নির্মাণের কারণে পাকা রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। যাতায়াতকারীরা ভোগান্তির শিকার হয়ে চলাচল করছে। নদীতে বর্ষার পানি আসায় আরও তীব্র আকার ধারণ করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে তারা। আবার অনেক পথচারী পায়ে হেঁটে যেতেও ভয় পাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, এ রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই রাস্তাটি ভেঙে নদীতে চলে যাচ্ছে। ছোট রিকশা-ভ্যান নিয়েই চলাচল করা কঠিন। অসুস্থ রোগী নিয়ে কোনো জরুরি সেবার যানবাহন চলাচল করা দুরূহ। ঝুঁকি নিয়ে দিনের বেলায় চলাচল করা গেলেও রাতে চলাচল বন্ধ। তারা বলেন, এভাবে ভাঙতে থাকলে যে কোনো সময় তিন ইউনিয়নের প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লোকের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। পাইস্কা ইউপি সদস্য বলেন, ভাঙন অব্যাহত থাকলে তিন ইউনিয়নবাসীর যাতায়াত বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্কুল শিক্ষক রবিউল আলম রুবেল বলেন, এলাকাবাসীর চলাচলের স্বার্থে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা প্রয়োজন। না হলে যে কোনো সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। পাইস্কা ইউনিয়নের মহিলা সদস্য ফজিলা বেগম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বৈরান নদী খনন করে। এলাকাতে নদীর মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণের ফলে রাস্তাটির এ দুরবস্থা। পাইস্কা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবদুল বারি জানান, নদীতে পানি থাকায় এখন রাস্তাটি মেরামত করা সম্ভব নয়। পানি কমে গেলে মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধনবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন জানান, রাস্তাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। নদীতে পানি থাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজ করা যাচ্ছে না। নদীর পানি কমে গেলে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর