মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সড়কে নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি চরমে

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

সড়কে নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানি চরমে

রাঙামাটি সড়কে যাত্রীবাহী বাসে এখন চরম নৈরাজ্য চলছে। যাত্রী হয়রানি তো রয়েছে। আসন সংখ্যার তুলনায় বেশি যাত্রী পরিবহন ছাড়াও পথে পথে যাত্রী ওঠা-নামা এখন নিত্যদিনের চিত্র। টিকিটের বাইরে বাড়তি টাকা আয়ের পথ খুলেছে চালক ও হেলপাররা। এতে ভোগান্তি বাড়ছে বৈধভাবে টিকিট নিয়ে বাসে ভ্রমণকারী সাধারণ যাত্রীদের। তাই যাত্রীবাহী বাসগুলোতে টিকিট ছাড়া এমন অবৈধ যাত্রীর কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি শঙ্কা বেড়েছে কয়েক গুণ। নামেই বিলাসবহুল পরিবহন হলেও বাস্তবে লোকাল বাসের পরিণতি হয়েছে রাঙামাাটির জনপ্রিয় বাস সার্ভিস পাহাড়িকাসহ অন্যান্য পরিবহনে। অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি লকডাউন তুলে নেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শতবাগ যাত্রী নিয়ে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে বাস চলাচল করার কথা থাকলেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না কেউ। সামাজিক দূরত্ব তো মানছেই না। মাস্কও পরছে না কেউ কেউ। সচেতন যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ মাস্ক পরলেও আসনের বাইরে অধিক যাত্রী ওঠা-নামার কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা একেবারেই কঠিন বলছেন যাত্রীরা। রাঙামাটি বেড়াতে আসা পর্যটক সাহেদা সুলতানা জানান, চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন পাহাড়িকা কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে গিয়ে ছিলাম। আসন একেবারে খালি ছিল না। শুধু পিছনে দুটি আসন ছিল ছাড়া। বাধ্য হয়ে পিছনের আসনের টিকিট নিয়ে বাসে উঠি। ২টা ৫০ মিনিটে গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ে ৩টা ১০ মিনিটের দিকে। পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে বাস রাঙামাটির উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পর হাটাজারী, রাউজান, রানীর হাটসহ বেশ কিছু স্থান থেকে টিকিট ছাড়া যাত্রী উঠায়। বসার আসন না থাকায় কিছু মানুষ চালকের পাশের খালি জায়গাটাতে বসায়। বাকিরা আমাদের পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রাঙামাটি আসে। একটা মানুষের মুখেও মাস্ক ছিল না। একে তো সিট পরিপূর্ণ মানুষ। তার ওপর প্রতিটি সিটের পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী সবমিলে লোকাল বাসের চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল বাসের চিত্র।

 এ ব্যাপারে রাঙামাটি বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মঈনু উদ্দিন সেলিম জানান, কিছু অসাধু চালকদের কারণে যাত্রীরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে বাসে। এসব দেখে না তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমরা বরাবরই চেয়েছিলাম, রাঙামাটি একটি পর্যটন শহর এখানে বিলাশবহুল মানসম্পন্ন বাসগুলো চলাচল করুক। যাতে পর্যটক ও সাধারণ যাত্রীর হয়রানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাঙামাটি-চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা বাস সার্ভিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও বিন্দুমাত্র নজরদাড়ি নেই সংস্থাটির নেতাদের। দায় সাড়তে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ হোসেন। তিনি বলেন, যাত্রী হয়রানির কোনো সুযোগ নেই। কোনো চালক যদি সড়কে সড়কে টিকিট ছাড়া অবৈধ যাত্রী ওঠা-নামা করে অভিযোগের ভিত্তিতে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ভুক্তভোগীরা বলছেন, প্রশাসনের নজরদাড়ি বাড়ানো গেলে বাসে যাত্রী হয়রানি প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সর্বশেষ খবর