মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

আবার কর্মচাঞ্চল্য কারখানায়

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আবার কর্মচাঞ্চল্য কারখানায়

লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্প নগরীর কারখানাগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে। ফলে দীর্ঘ সময়ে অভাব অনটনে থাকা শ্রমিকরা আয়ের পথে আশায় বেশ খুশি। আর সংশ্লিষ্টরা বলছেন সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনা হলে স্বাভাবিকভাবেই কারখানা চালু রাখা সম্ভব। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ জারি থাকায় দীর্ঘ সময় ধরে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্প নগরীর কলকারখানাগুলো বন্ধ রাখা হয়। এতে বেকার হয়ে পড়ে কয়েকশ শ্রমিক। লকডাউন শিথিল হওয়ায় অভাবে থাকা শ্রমিকরা আবারও কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে। ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। জেলা বিসিক শিল্প নগরীতে গড়ে উঠা সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান রাজ্জাক গ্রুপের গ্লোল্ডেন ফাইবার ইন্ডাস্ট্র্রিজ নামের জুট মিল। এছাড়া আটা, ময়দা, সুজি, সাবান ও প্লাস্টিকের কয়েকটি কারখানা ছাড়া গড়ে উঠেনি তেমন কোনো বড় কলকারখানা। স্থানীয় শ্রমিকের ভরসা জুট মিলে নিয়মিত শ্রম দেওয়া। বর্তমানে বিধিনিষেধ শিথিলতায় এই জুট মিলে তিন ভাগে ৬০০ শ্রমিক কাজ করছেন।

 এ থেকে দৈনিক উৎপাদন হচ্ছে পাটের তৈরি ৫ হাজার পিচ সুতার রোল ও ৫ হাজার পিচ বস্তা। এসব উৎপাদিত সুতা ও বস্তা স্থানীয় চাহিদা বাজারের পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে অন্যান্য জেলায়। চালু হওয়ার পর জুট মিলে কাজ ফিরে পেয়ে এখন অনেকটাই খুশি শ্রমিকরা। তবে করোনা টিকা প্রদান অব্যাহত থাকলে কলকারখানা খোলা রাখা সম্ভব বলে জানান কারখানার মালিকরা। উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সাল থেকে ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীর ১৫ একর জমিতে গড়ে উঠে ছোট-বড় ৫১টি প্রতিষ্ঠান। এর বিপরীতে বর্তমানে জুট মিলেই ৬০০ আর বাকি প্রতিষ্ঠানেগুলোসহ মোট ১ হাজার ৫৩৫ জন শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করছে। কারখানার শ্রমিক মালেকা বেগম বলেন, এতদিন কারখানা বন্ধ থাকায় আমাদের খুব খারাপ অবস্থায় দিন কাটছিল। এখন কারখানা খুলছে, নিয়মিত বেতন পাচ্ছি, ভালোভাবে চলতেছে সংসার। আরেক শ্রমিক আজাদ আলী বলেন, কারখানায় আমরা মাক্স পরে নিয়ম মতো কাজ করছি। তবে আমাদেরকে যদি টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে তাহলে আরও ভালো হয়। ঠাকুরগাঁও গ্লোল্ডেন ফাইবার ইন্ডাস্ট্র্রিজ এর জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম বলেন, বিধিনিষেধ শিথিলের পর প্রতিষ্ঠান খুলে নতুন করে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে করোনায় লোকসান গুনতে হয়েছে আমাদেরকে। লকডাউনে যেসব কলকারখানা বন্ধ ছিল তাদের নেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ করা হলে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়বে। ঠাকুরগাঁও চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও রাজ্জাক গ্রুপের প্রোপাইটার হাবিবুর ইসলাম বাবলু বলেন, করোনা চলাকালীন সময় আমরা কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করি নাই। এছাড়াও অনেক শ্রমিককে আমরা সহযোগিতা করেছি। এখন আমাদের কারখানা চালু হয়েছে। তাই যে সব ব্যাংক লোন এর ইন্টারেস্ট রয়েছে সেগুলো মওকুফ করলে আমাদের ক্ষতি কম হবে। ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক নূরেল হক বলেন, সরকারের পক্ষ হতে কলকারখানাগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। বিসিক এর সব কারখানা নিয়ম মতো, মাক্স ও জীবাণুনাশক স্প্রে করে খোলা হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর