দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও আর্থিক সংকট ও অনেক শিক্ষার্থী অন্যত্র ভর্তি হওয়ায় মৌলভীবাজারের অন্তত ২০টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুল বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ভবন ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। ভবন মালিকরা পরিবারের কিংবা ব্যাংক বীমার অফিস হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন ২০ স্কুলের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। তাদের লেখাপড়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অভিভাবকরা। আবার দীর্ঘদিন বেকার থাকায় শিক্ষকরা পেশা পরিবর্তন করেছেন। মৌলভীবাজার কিন্ডারগার্টেন সমিতি জানায়, জেলায় ৪১৪টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি কে.জি. স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।  বন্ধ হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। আবার অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন না। নানা কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি এহসান বিন মুজাহির বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকাবস্থায় সরকারিভাবে বড় ধরনের কোনো সহযোগিতা না করায় অর্থিক সংকটে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুর রহমান বলেন, বেসরকারি যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কারণে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে সেখানকার শিক্ষার্থীদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।